কলিঙ্গ সুপার কাপ ছাড়া আর কোনও ট্রফি এ বছর ঘরে তুলতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। ডুরান্ড কাপ ফাইনালে পরাজিত হওয়ার পর ঘুরে দাঁড়ানো অন্যতম লক্ষ্য ছিল তাদের। সুপার কাপে তা সম্ভব হলেও পরবর্তীতে সেই ধারা আর বজায় থাকেনি। সময় এগোনোর সাথে সাথে ইন্ডিয়ান সুপার লিগে ক্রমশ ছন্দ হারিয়েছে মশাল ব্রিগেড।
যারফলে, টুর্নামেন্টের প্লে-অফে সুযোগ করে নেওয়া সম্ভব হয়নি তাদের পক্ষে। কিন্তু সুপার কাপের মতো সর্বভারতীয় ফুটবল টুর্নামেন্ট জেতার সুবাদে নতুন সিজনে এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগের টায়ার টুর কোয়ালিফাইং রাউন্ডে নামবে ইস্টবেঙ্গল।
তাছাড়া জুলাই মাসের শেষের দিকে ডুরান্ড কাপের মধ্য দিয়ে শুরু হবে নতুন মরশুম। এই সব কিছু মাথায় রেখেই নতুন দল গঠনের পরিকল্পনা লাল-হলুদের। পুরনো স্কোয়াড থেকে বিদেশিদের মধ্যে ক্লেটন সিলভা, হিজাজি মাহের এবং সাউল ক্রেসপোর মতো ফুটবলারের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি করে নিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। এছাড়াও ভারতীয় ফুটবলারদের মধ্যে অনেকেই থাকছেন নতুন মরশুমে। কিন্তু তা যথেষ্ট নয়। সেজন্য ফরাসি ফুটবলার মাদিহ তালাল থেকে শুরু করে দিমিত্রিওস ডায়মান্টাকোসকে প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছে ময়দানের এই প্রধান দল। দেশীয় টুর্নামেন্টের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলার লক্ষ্য রয়েছে তাদের।
সেইমতো বিদেশি ফুটবলারদের পাশাপাশি দেশীয় ফুটবলারদের দিকেও নজর রয়েছে ইমামি ম্যানেজমেন্টের। যাদের মধ্যে রয়েছেন বিনীত রাই থেকে শুরু করে আপুইয়ার মতো ফুটবলার। এবার উঠে আসছে আরেক ফুটবলারের কথা। তিনি নাওরেম রোশন সিং। এবারেরই ফুটবল সিজনে বেঙ্গালুরু এফসির জার্সিতে খেলেছিলেন তরুণ এই ডিফেন্ডার। মোট কুড়িটি অ্যাপিয়ারেন্সে একটি গোল কন্ট্রিবিউশন থেকেছে বছর পঁচিশের এই লেফট ব্যাকের।
এছাড়াও দলের প্রয়োজন মত রাইট ব্যাকের পাশাপাশি রাইট উইংয়ে খেলার দক্ষতা রয়েছে এই ভারতীয় ফুটবলারের। বিশেষ সূত্র মারফত খবর, বেঙ্গালুরুর এই ফুটবলারের দিকে গত বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে নজর রয়েছে ইমামি ম্যানেজমেন্টের। আগামী ২০২৬ সাল পর্যন্ত তার সঙ্গে এই আইএসএল জয়ী ক্লাবের চুক্তি থাকলেও দল বদলের বাজারে তাকে নেওয়ার জন্য আসরে নামতে পারে মশাল ব্রিগেড।