গত ফুটবল মরশুম খুব একটা সুখকর না হলেও নতুন সিজন থেকে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ব্রিগেড। তাই গত সুপার কাপের পরবর্তী সময় থেকেই নিজেদের নতুন মরশুমের দল গঠনের কাজে হাত দেয় ম্যানেজমেন্ট। শুরুতে ওডিশা এফসি থেকে নন্দকুমার শেখর ও চেন্নাইন এফসি থেকে তরুণ ফুটবলার এডুইন সিডনি ভান্সপলকে চূড়ান্ত করে দল।
পরবর্তীতে ব্রিটিশ কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইনকে বিদায় জানিয়ে দলে আনা হয় স্প্যানিশ কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাতকে দেওয়া হয় দলের দায়িত্ব। তারপর কোচ ও ম্যানেজমেন্টের পছন্দ অনুসারে দলে আনা হয় নিশু কুমার থেকে শুরু করে মন্দাররাও দেশাই, ও প্রভসুখান সিং গিলের মতো ফুটবলাররা। এমনকি বিদেশি বাছাই করার ক্ষেত্রে ও এই আইএসএল জয়ী কোচের পছন্দকে মান্যতা দেয় ম্যানেজমেন্ট। সেইমতো হায়দরাবাদ দলের দুই তারকা ফুটবলার জাভিয়ের সিভেরিও টোরো ও বোরহা হেরেরাকে সই করায় ইস্টবেঙ্গল। পরবর্তীতে এই দলের সঙ্গে যুক্ত করা হয় তারকা বিদেশি সাউল ক্রেসপোকে।
তবে শুধু সিনিয়র ফুটবলাররাই নয়। কলকাতা লিগের পাশাপাশি দলের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে বিশেষ ট্রায়ালের আয়োজন করে একাধিক ফুটবলারদের বেছে নেয় লাল-হলুদ শিবির। যাদের মধ্যে রয়েছেন রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের সফল তারকা তথা বুনান্দ সিং। এছাড়াও রামকৃষ্ণ মিশন ফুটবল অ্যাকাডেমির দুই প্রতিভাবান তারকা প্রনব মন্ডবি, ও অভিষেক কুঞ্জম। এছাড়াও রাজিবুল মিস্ত্রি থেকে শুরু করে গুইতে ও গুরনাজ সিং গ্ৰওয়ালের মতো প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের ও যুক্ত করা হয় দলের সঙ্গে। উল্লেখ্য, শেষ দুইটি ফুটবল ম্যাচে অভিষেক ঘটেছে গুইতে ও গুরনাজ সিংয়ের। সব ঠিকঠাক থাকলে আজ অভিষেক হতে পারে এডুইন ভান্সপলের।
এসবের মাঝেই এবার বছর কুড়ির আরও এক তরুণ ফুটবলারকে দলে টানল ইস্টবেঙ্গল। তিনি জিশান আখতার। এই নয়া ফুটবল মরশুমের জন্য ডিকে ফার্মা এফসি থেকে এবার কলকাতার এই প্রধানে যোগ দিতে চলেছেন এই ফুটবলার। পূর্বে সন্তোষ ট্রফিতে দমন ও দিউ ফুটবল দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেয়েছিলেন জিশান। এবার তাকে দলে রেখেই ভালো পারফরম্যান্স করতে চাইছেন বিনো জর্জ।