শনিবার আইএসএলের ম্যাচে রাফায়েল ক্রিভেলারোদের মুখোমুখি হতে হবে নাওরেম মহেশদের। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে জামশেদপুর দলের বিপক্ষে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দিয়ে অভিযান শুরু করেছিল দল। তবে সেই ম্যাচে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই ফিরতে হয়েছিল তাদেরকে। পরবর্তীতে হায়দরাবাদ এফসির বিপক্ষে জয় পেয়ে ছন্দে ফিরলেও তৃতীয় ম্যাচে কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে বেঙ্গালুরু এফসির কাছে পরাজিত হতে হয় লাল-হলুদ ব্রিগেডকে। পরবর্তীতে সন্দেশ ঝিঙ্গানদের এফসি গোয়া ও ইভান ভুকোমানোভিচের কেরালা ব্লাস্টার্সের বিপক্ষে ও পরাজিত হতে হয় তাদেরকে। যা রীতিমতো হতাশ করেছে সকলকে। তবে এবার সাময়িক ছুটি কাটিয়ে জয়ের সরনীতে ফিরতে মরিয়া লাল-হলুদ ব্রিগেড।
সেইমতো গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দলের ফুটবলারদের নিয়ে একাধিক প্রস্তুতি ম্যাচ সারেন কুয়াদ্রাত। যেখানে নেরোকা এফসি থেকে শুরু করে পরবর্তীতে ট্রাউ, ডায়মন্ডহারবার এমনকি মহামেডান স্পোর্টিংয়ের মতো ক্লাবের সাথেও খেলে কলকাতা ময়দানের এই প্রধান। তবে অধিকাংশ ম্যাচের ফলাফল আরামদায়ক না হলেও বর্তমানে দলের ফুটবলারদের নিয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী কুয়াদ্রাত।
উল্লেখ্য, এবার চেন্নাইয়ের ঘরের মাঠে ম্যাচ হলেও সেখান থেকে তিন পয়েন্ট সংগ্রহ করতে বধ্যপরিকর ইস্টবেঙ্গল। সেইমতো গতকাল কলকাতা থেকে চেন্নাই উড়ে যাওয়ার আগে দলের ফুটবলারদের নিয়ে বিশেষ অনুশীলন করান স্প্যানিশ কোচ।
যেখানে সিচুয়েশন প্রাকটিস থেকে শুরু করে পাসিং ফুটবল এমনকি উইং থেকে আক্রমনের দিকে ও জোর দিতে দেখা যায় কার্লোস কুয়াদ্রাতকে। তবে সেখানে অনুশীলন করতে দেখা যায়নি দলের দুই দাপুটে ফুটবলারকে। যাদের মধ্যে রয়েছেন মন্দার রাও দেশাই ও নন্দকুমার শেখর। হ্যাঁ ঠিকই শুনলেন। গতকাল অনুশীলনের সময় এই দুই ফুটবলারদের সঙ্গে আলাদা করে বহুক্ষণ কথা বলতে দেখা যায় দলের কোচকে। তবে বাকিদের সঙ্গে অনুশীলনে নামেননি তাদের কেউ। যারফলে, স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছিল যে এবারকি তাহলে চেন্নাইন ম্যাচে থাকবেন তারা? যতদূর খবর, রহিম আলীদের বিপক্ষে নন্দকুমারদের খেলার সম্ভাবনা প্রবল থেকে প্রবলতর। তবে পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে একাদশে বদল আনতে পারেন স্প্যানিশ কোচ।