জামশেদপুরের বিরুদ্ধে জিতে আত্মবিশ্বাসী ইস্টবেঙ্গল কোচ স্টিফেন কনস্টাটাইন

রবিবার উজ্জীবিত ফুটবল খেলে ৩-১ গোলে জিতেছে ইস্টবেঙ্গল এফসি (East Bengal) জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে। এই জয় কার্যত ভোল বদলে দিয়েছে গোটা লাল হলুদ শিবিরে। তাই…

Stephen Constantine

রবিবার উজ্জীবিত ফুটবল খেলে ৩-১ গোলে জিতেছে ইস্টবেঙ্গল এফসি (East Bengal) জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে। এই জয় কার্যত ভোল বদলে দিয়েছে গোটা লাল হলুদ শিবিরে। তাই খেলা শেষে সাংবাদিক বৈঠকে ইস্টবেঙ্গল হেডকোচ স্টিফেন কনস্টাটাইনের অকপট স্বীকারোক্তি, ‘ঘরের মাঠে জিততে চাই আমরা’।

এইডি বুথরয়েডের দলের বিরুদ্ধে JRD টাটা স্পোটর্স কমপ্লেক্সে ইস্টবেঙ্গল যে তিনটে বল জামশেদপুর এফসির জালে জড়িয়েছে ওই গোলের পিছনে নাওরেম মহেশের পাসিং অবদান বড় সঙ্গে অধিনায়ক ক্লিনটন সিলভার জোড়া গোল রয়েছে,দুরন্ত পারফরম্যান্স এই দুই খেলোয়াড়ের। স্বভাবতই লাল হলুদ ভক্তরা মহেশ এবং সিলভাকে নিয়ে খুব খুশি।

এই দুই ফুটবলারের পারফর্মকে ভক্তরা যেমন সাধুবাদ জানাচ্ছে একইভাবে কনস্টাটাইন মহেশ এবং সিলভার পারফরম্যান্স প্রসঙ্গে বলেন,’ দু-একজন ভাল খেললেই দল জেতে না।-একজন ফুটবলার দলকে জেতাতে পারে না। যারা গোল করেছে, তাদের গোল করার জন্যই খেলানো হয়। মহেশকে বল সাপ্লাই দেওয়ার কাজই দেওয়া হয়েছে’। টিম গেমের ওপর জোর দিয়ে ইস্টবেঙ্গলের বৃটিশ কোচ বলেন,’শুধু ক্লিনটন নয়, কমলজিৎ, ইভান আমাদের গোলের সামনে দুর্দান্ত খেলেছে। সার্থক, জেরিও ভাল খেলেছে। প্রত্যেকেই আজ ভাল খেলেছে। প্রথম গোলে সুহেরের টাইমিং একেবারে নিখুঁত ছিল। জর্ডন ও লিমা দু’জনেই দুরন্ত খেলেছে। মাঝমাঠে ওরাই বল নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল। ওদের নিয়ন্ত্রণ থেকে বল ছিনিয়ে নেওয়া বেশি কঠিন হয়ে ওঠে। প্রত্যেকেই তাদের ভূমিকা যথাযথ ভাবে পালন করেছে’।

মাত্র ন’দিন আগে, ঘরের মাঠ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ওডিশা এফসির বিরুদ্ধে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পরে জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে জয় গোটা রেড এন্ড গোল্ড বিগ্রেডে বয়ে চলেছে ‘ফিল গুড ফ্যাক্টর’। জয়ের এই ধারাবাহিকতা পরের ম্যাচ বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে ধরে রাখতে চাইবে ইস্টবেঙ্গল এফসি।