গতবারের ব্যর্থতা ভুলে এবছর নতুন করে নিজেদের মেলে ধরাই অন্যতম লক্ষ্য ছিল লাল-হলুদের (East Bengal)। সেই ভাবনা নিয়েই গত মাসের ২৫ তারিখ থেকে ইন্ডিয়ান সুপার লিগে নিজেদের অভিযান শুরু করেছে কলকাতার এই প্রধান। প্রথম ম্যাচে জামশেদপুর এফসির বিপক্ষে ড্র করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে হায়দরাবাদ এফসির বিপক্ষে সহজ জয় তুলে নিয়েছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল ফুটবল দল।
সেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে টুর্নামেন্টের তৃতীয় ম্যাচে কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে বেঙ্গালুরু এফসির মুখোমুখি হয়েছিল কুয়াদ্রাতের ছেলেরা। প্রথমদিকে নাওরেম মহেশ সিংয়ের করা গোলে দল এগিয়ে থাকলেও তা শোধ হয়ে যায় কিছুক্ষণ পরেই।
আসলে সেই গোলের পরেই রেফারির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সুনীল ছেত্রী। যারফলে, সহজেই পেনাল্টি পেয়ে যায় সাইমনের বেঙ্গালুরু। সেখান থেকে গোল করেন ছেত্রী। তারপর প্রথমার্ধে উভয় দলের কাছে একাধিক সুযোগ আসলেও তা কাজে লাগানো সম্ভব হয়নি। তবে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের হাতে বল লাগলেও তা গুরুত্ব দেননি রেফারি।
যারফলে, নিশ্চিত পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত থাকে লাল-হলুদ। অন্যদিকে, সেই ঘটনার ঠিক কিছুক্ষণ পরেই বিশ্বমানের গোল করে দলকে এগিয়ে দেন জাভি হার্নান্দেজ। বলা যায়, তার গোলেই এবারের আইএসএলে প্রথম জয় তুলে নেয় বেঙ্গালুরু এফসি।
যা নিয়ে পরবর্তীতে তুমুল আলোড়ন পড়ে গিয়েছে বিশেষজ্ঞ মহলে। প্রত্যেকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন রেফারিকে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই এবার ২১ তারিখ ভুবনেশ্বরের বুকে এফসি গোয়ার মুখোমুখি হবে ইমামি ইস্টবেঙ্গল ফুটবল দল। গত ম্যাচের অভিজ্ঞতা থেকেই এবার ম্যাচের আগে রেফারিং নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করলেন লাল-হলুদ কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাত।
তার কথায়, গত ম্যাচে আমাদের ছেলেরা বহু সুযোগ তৈরি করেছিল। যদিও তা কাজে লাগানো সম্ভব হয়নি। তবে রেফারিং নিয়ে ও আমাদের তরফ থেকে খুব একটা সন্তুষ্ট থাকা সম্ভব হয়নি। এমন পরিস্থিতি দলের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে। তবে ছেলেরা সেই হতাশা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য লড়াই করবে।