গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ওয়েন কোয়েলের চেন্নাইন এফসির বিপক্ষে শেষ আইএসএল ম্যাচ জিতেছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ফুটবল ক্লাব। তারপর থেকে হারের হ্যাটট্রিক। আসলে গত তিন বছরের পুরনো ছন্দ কিছুতেই যেন হারাতে চাইছে না দলের ফুটবলাররা। একের পর এক ম্যাচে শুধুই ধরাশায়ী হতে হচ্ছে তাদেরকে।
সার্জিও লোবেরার ওডিশা এফসি থেকে শুরু করে মানালো মার্কেজের এফসি গোয়া হোক কিংবা অ্যান্তোনিও লোপেজ হাবাসের মোহনবাগান সুপারজায়ান্টস। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই নাজেহাল হওয়ার মত পরিস্থিতি মশাল ব্রিগেডের। রবিবারের ডার্বিতে ক্লেটন সিলভার পেনাল্টি মিস করার ভারতীয় ডিফেন্ডার লালচুংনুঙ্গার অনুপস্থিতি যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছিল ম্যাচের মধ্যে।
পরবর্তীতে যতই সময় এগিয়েছে বাগান ব্রিগেডের সামনে কার্যত খর কুটোর মতো উড়ে যাওয়ার পরিস্থিতি দেখা দিয়েছিল লাল-হলুদের। দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের অজান্তেই ভালো খেলতে শুরু করে দিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। দলের অন্যতম স্প্যানিশ ফুটবলার সাউল ক্রেসপোর চোখ ধাঁধানো গোল থাকলেও ম্যাচে ফেরার জন্য তা যথেষ্ট ছিল না।
যদিও তারপর থেকেই অনেকটাই রক্ষণাত্মক ভঙ্গিমায় চলে আসে মেরিনার্সরা। যারফলে, গোলের মুখ আর খোলা সম্ভব হয়নি তাদের পক্ষে। বর্তমানে পরিস্থিতি তাতে আসুন বাকি তিনটি ম্যাচই জিততে হবে লাল-হলুদ ব্রিগেডকে। যেখানে তাদের খেলতে হবে ইভান ভুকোমানোভিচের কেরালা ব্লাস্টার্স থেকে শুরু করে সুনীল ছেত্রীর বেঙ্গালুরু এফসি এবং পাঞ্জাব এফসির বিপক্ষে।
এই পারফরম্যান্স বজায় থাকলে শেষ ছয় শেষ করা যে একেবারেই অসম্ভব লাল-হলুদের পক্ষে, তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। তবুও প্লেয়ার হয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন কার্লোস কুয়াদ্রাত। তার কথায়, ছেলেরা দ্বিতীয়ার্ধে যেভাবে খেলায় ফিরে এসেছিল তার জন্য আমি গর্বিত। ওরা দেখিয়ে দিয়েছে ওদের কাছে আরো বড় লক্ষ্য আসলে ও কিছু এসে যায়না। ওরা লড়াই করেছে। দ্বিতীয় গোলটা হলে অনেক কিছুই হতে পারতো। তবে এখন পরবর্তী ম্যাচ নিয়ে ভাবতে হবে।