আজ ১লা আগস্ট। দেশের ফুটবল যেটি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) দিবস হিসেবে অতি পরিচিত। প্রত্যেক বছর এই ঐতিহাসিক দিনের অপেক্ষায় থাকেন ভারত তথা গোটা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা লাল-হলুদ জনতা। গত ১৯২০ সালে আগস্টের এই প্রথম দিনেই স্থাপিত হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাব। তারপর থেকে প্রথম বছরই প্রায় সাড়ম্বরে পালিত হয়ে আসছে এই দিনটি। অন্যান্য বছর গুলির মতো এবার ও ক্লাব টেন্টে পতাকা উত্তোলনের পাশাপাশি প্রতিটি বিভাগে পুরষ্কৃত করা হবে ক্রীড়া জগতের একাধিক ব্যক্তিবর্গকে। তবে প্রতিষ্ঠা দিবসের আগেই অর্থাৎ জুলাইয়ের শেষ দিনে বড়সড় চমক দিল ইস্টবেঙ্গল।
একসাথে দলের প্রায় ১৪ জন মহিলা ফুটবলারের সঙ্গে চুক্তি বাড়িয়ে নেওয়ার কথা ঘোষণা করল মশাল ব্রিগেড। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। ম্যানেজমেন্টের এমন সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে অবাক করে দিয়েছে সকল সমর্থকদের। এই তালিকার মধ্যে গোলরক্ষক হিসেবে রয়েছেন যথাক্রমে পান্থোই চানু, মামণি দাস। ডিফেন্ডারদের মধ্যে রয়েছেন যথাক্রমে সরিতা ইউমনাম, সাথী দেবনাথ, সুপ্রিয়া কিসপোতা, রিয়া সরকার। মাঝমাঠের ফুটবলারদের মধ্যে রয়েছেন কার্তিকা আঙ্গামুথু, সন্ধ্যা রঙ্গনাথন, সঙ্গীতা বাসফোর, থান্ডামনি বাস্কি। এছাড়াও ভালো পারফরম্যান্স করার জন্য ফরোয়ার্ডের চার ফুটবলারদের সঙ্গে চুক্তি বাড়ানোর পরিকল্পনা নেয় ইস্টবেঙ্গল।
যাদের মধ্যে রয়েছেন সৌম্য গুগুলথ, সুলাঞ্জনা রাউল, সন্ধ্যা মাইতি, রেস্টি নানজিরি। এই প্রসঙ্গে মহিলা দলের কোচ অ্যান্থনি অ্যান্ড্রুজ বলেন, ” এই খেলোয়াড়রা কেবল মাঠের মানই নয়, বরং ইস্ট বেঙ্গলের পরিচয় ও গুরুত্ব সম্পর্কে ও যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। তাঁরা আমাদের কৌশলের সঙ্গে নিজেদের যথেষ্ট রপ্ত করে নিয়েছে। তাঁদের সঙ্গে চুক্তি বাড়ানোর ফলে আশা করি নতুন সিজনে ক্লাব এবং আমাদের সমর্থকদের জন্য আরো ভালো কিছু অর্জনে সহায়ক হয়ে উঠবে।”
বলাবাহুল্য, শেষ ফুটবল সিজনে কন্যাশ্রী কাপের পাশাপাশি ইন্ডিয়ান ওমেন্স লিগে ও সকলকে পিছনে ফেলে সেরার সেরা হয়েছিল মশাল কন্যারা। যার ফলে বাংলার প্রথম দল হিসেবে জাতীয় মহিলা লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। সেই সুবাদেই এবার এএফসির মঞ্চে প্রতিনিধিত্ব করতে চলেছে লাল-হলুদের মহিলা দল। পুরুষ দলের পারফরম্যান্সের পাশাপাশি এখন সেদিকেই নজর থাকবে সকল সমর্থকদের।