ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) বসুন্ধরা (Basundhara) প্রাপ্তি নির্ভর করে রয়েছে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ওপর। বিষয়টা যতটা ক্রীড়া জগতের, ঠিক ততটাই রাজনৈতিক মহলের। খেলাধূলা এবং কূটনীতির যুগপৎ এক প্রক্রিয়া।
বসুন্ধরা গোষ্ঠী তাকিয়ে থাকবে বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকে। তিনি সবুজ সংকেত দিলে তবেই হয়তো বিনিয়োগ। ইস্টবেঙ্গল কর্তারা কথা বলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তাঁর পরামর্শ মতো নতুন বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে কথা চালাচ্ছে ক্লাব।
ভারত বাংলাদেশের মধ্যে মৈত্রী স্থাপনের জন্য বিভিন্ন সময়ে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন পদক্ষেপ। কূটনৈতিক পদ্ধতিতে যা কাম্য। ফুটবলের মাধ্যমে দুই দেশের মেলবন্ধন খুলে দিতে পারে বন্ধুত্বের নতুন দরজা। বসুন্ধরার দাবি স্পষ্ট, তারা ভারতীয় ফুটবলে বিনিয়োগ করতে চাই। ভারতীয় ফুটবলের বাজার বিশাল। ইউরোপের ক্লাবগুলোও তাকিয়ে থাকে ভারতবর্ষের দিকে। এ দেশে বসুন্ধরা গ্রুপের আইডেন্টিটি কেবল ইস্টবেঙ্গলের সম্ভাব্য ইনভেস্টর নয়। বসুন্ধরা বড় কোম্পানি। যার খ্যাতি রয়েছে বাংলাদেশের বাইরেও। খেলার মাঠের মধ্য দিয়েও যদি বিদেশি বিনিয়োগ আসে তাতে মন্দ কি! জটিলতা আছে না থাকবে ইত্যাদি বিষয় রাজনৈতিক মহলের ভাবনার বিষয়। আগামী দিনের বিষয়। আপাতত পুরোটাই সম্ভাবনার পর্যায়।
মৈত্রী স্থাপনে দুই দেশের অন্যতম মাধ্যম রেল। উত্তরবঙ্গ এবং ঢাকা সংযোগ স্থাপন করতে চলেছে মিতালী এক্সপ্রেস। ২০২১ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যৌথভাবে নিউ জলপাইগুড়ি-ঢাকা মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন পরিষেবার সূচনা করেছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর উদ্যাপন করতে প্রধানমন্ত্রী মোদী গিয়েছিলেন ঢাকায়। মমতার সঙ্গেও হাসিনার সদ্ভাব রয়েছে বলে জানা যায়।
বাংলাদেশ যোগ শুধু ইস্টবেঙ্গলে নয়, মহামেডানও। পদ্মা পারের সাদা কালো ব্রিগেডের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে চাইছে এপার বাংলার ক্লাব। বুধবার ইস্টবেঙ্গলের সাংবাদিক সম্মেলনে মহামেডানের প্রসঙ্গে তুলেছিলেন লাল হলুদ কর্তা।