জয়ের মধ্য দিয়ে এএফসি ওমেন্স চ্যাম্পিয়নস লিগ শুরু করেছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব (East Bengal Women)। গত ২৫শে আগস্ট কম্বোডিয়ার শক্তিশালী ফুটবল দল ক্রাউন এফসির বিপক্ষে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল অ্যান্থনি অ্যান্ড্রুজের মেয়েরা। দ্বিতীয়ার্ধে রেস্টি নানজিরির অ্যাসিস্ট থেকে গোল করেছিলেন ফাজিলা ইকওয়াপুথ। তাঁর করা একমাত্র গোলেই এসেছিল জয়। সেই নিয়ে যথেষ্ট খুশি সকলে। এই জয় নিঃসন্দেহে আত্মবিশ্বাস বাড়াবে দলের সকল ফুটবলারদের। হিসাব অনুযায়ী দেখলে আসন্ন ম্যাচে হংকংয়ের শক্তিশালী কিচির সাথে ড্র করলেই গ্ৰুপ পর্বে স্থান করে নেবে মশাল কন্যারা।
আসলে কয়েকদিন আগেই হংকংয়ের এই শক্তিশালী দলের কাছে পয়েন্ট নষ্ট করেছে কম্বোডিয়ার চ্যাম্পিয়ন দল। যারফলে পরের রাউন্ডের স্থান পেতে গেলে আর মাত্র এক পয়েন্ট লাগবে ভারতের এই ফুটবল ক্লাবের। বলতে গেলে কিছুটা হলেও অ্যাডভান্টেজ থাকছে সৌম্যা গুগুলথদের কাছে। তবে প্রথম ম্যাচের মতোই দ্বিতীয় ম্যাচে জয় সুনিশ্চিত করতে চান গতবারের আই লিগ জয়ী কোচ। তবে প্রতিপক্ষ দলের বিপক্ষে ৩ পয়েন্ট সুনিশ্চিত করা যে খুব একটা সহজ হবে না সেটা ভালো মতোই জানেন তিনি। সেজন্য ম্যাচের আগে প্রতিপক্ষ দলকে যথেষ্ট সমীহ করছেন অ্যান্থনি অ্যান্ড্রুজ।
তাঁর কথায় ফিজিক্যাল ফিটনেসের দিক থেকে যথেষ্ট এগিয়ে কিচি এফসি। তবে পরিকল্পনা অনুযায়ী ম্যাচ খেলে পুরো পয়েন্ট সুনিশ্চিত করাই অন্যতম লক্ষ্য সকলের। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে লাল-হলুদ কোচ বলেন, ” প্রথম ম্যাচে জয় আশায় দলের মধ্যে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। তবে এই ম্যাচে প্রথমার্ধের শুরু থেকেই গোল তুলে নেওয়ার লক্ষ্য থাকবে। তাছাড়া আমরা গত ম্যাচে ক্রাউন এফসির সাথে তাঁদের খেলা দেখেছি। বক্সের মধ্যে ওরা যথেষ্ট বিপদজনক হয়ে উঠতে পারে। তবে আমরাও পরিকল্পনা মাফিক ফুটবল খেলে গোল তুলে নেওয়ার চেষ্টা করব। আশা করি ম্যাচ জিতেই ফিরে আসতে পারবো।”
বলাবাহুল্য, এএফসির কথা মাথায় রেখে অনেক আগে থেকেই দল গঠনের কাজে হাত দিয়েছিল ম্যানেজমেন্ট। জাতীয় দলের ফুটবলারদের পাশাপাশি একাধিক দাপুটে মহিলা ফুটবলারদের যুক্ত করা হয়েছে এবার দলের সঙ্গে। বিশেষ করে মাওরিন টোভিয়া ওকপালা থেকে শুরু করে গত ইন্ডিয়ান ওমেন্স লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা তথা ফাজিলা ইকওয়াপুথের মতো ফুটবলারদের যুক্ত করা হয়েছে লাল-হলুদে। তাঁদের সামনে রেখেই এই ম্যাচে সফল হতে চাইবেন ইস্টবেঙ্গল হেড কোচ।