Mohun Bagan Academy: দুর্গাপুরে মোহনবাগান আকাদেমি বন্ধ হয়ে গেল

Sports desk: দুর্গাপুরে মোহনবাগান আকাদেমি (Mohun Bagan Academy) বন্ধ হয়ে গেল। আর এই খবরে সবুজ মেরুন সমর্থকরা যতটা “হতাশ”, এর থেকে আরও বেশি “স্তম্ভিত” আকাদেমির…

Joe Paul Ancheri

Sports desk: দুর্গাপুরে মোহনবাগান আকাদেমি (Mohun Bagan Academy) বন্ধ হয়ে গেল। আর এই খবরে সবুজ মেরুন সমর্থকরা যতটা “হতাশ”, এর থেকে আরও বেশি “স্তম্ভিত” আকাদেমির দায়িত্বতে থাকা প্রাক্তন জাতীয় তথা মোহনবাগানের হয়ে খেলা ফুটবলার জো পল আনচেরি।

Kolkata24X7.in -কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে দুর্গাপুরে মোহনবাগান আকাদেমি বন্ধের খবর শুনে “স্তম্ভিত” হয়ে পড়েন প্রাক্তন ফুটবলার জো পল আনচেরি। নিজের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়াতে আনচেরি বলেছেন,”অনূর্ধ্ব -১৭ এবং ১৮ দায়িত্ব দিয়েছিলেন স্বপন সাধন বসু(টুটু বসু),সৃঞ্জয় বসু(টুম্পাই দা) এবং অঞ্জন মিত্র একযোগে সিদ্ধান্ত নিয়ে।আমি চার বছর কাজ করেছি দুর্গাপুরে মোহনবাগান আকাদেমিতে”। সঙ্গে তিনি এও বলেন,”আকাদেমি বন্ধের কারণ আমার জানা নেই, কোভিড-১৯ এবং নতুন করে ‘ওমিক্রন’ ভাইরাসের বাড়বাড়ন্তের জেরে কেরালাতে পরিবারের সঙ্গে দিন কাটছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনও ফুটবলের সঙ্গে যোগাযোগ নেই।তবে অতিমারির পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই আবার ফুটবলের চেনা জগৎ’এ -সবুজ গালিচায় পা রাখবো”।

দুর্গাপুরে মোহনবাগান আকাদেমি গড়ার মূল লক্ষ্য ছিল, দলের সাপ্লাই লাইনের শক্তি বাড়িয়ে তোলা। আকাদেমির এই মূল টার্গেট সফল হয়ে উঠেছিল। মোহনবাগানের দুর্গাপুরে ফুটবল আকাদেমির সাফল্য নিয়ে বলতে গিয়ে জো পল আনচেরি বলেন,”শুভ ঘোষ, প্রণয় হালদার সহ অনেক ফুটবলার উঠে এসেছে এবং এখনও তারা ভারতের বিভিন্ন ফুটবল ক্লাবে খেলে চলেছে”।

২০০৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত প্রথম পর্যায়ে মোহনবাগানের দুর্গাপুর আকাদেমির সঙ্গে জড়িত ছিলেন আনচেরি। এরপর সাময়িক বিরতি আকাদেমি থেকে, ফের জো পল আনচেরির মোহনবাগানের দুর্গাপুর আকাদেমির দায়িত্ব নেওয়া, ২০১৫ সাল পর্যন্ত।

স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (SAIL) এবং মোহনবাগানের ক্লাবের যৌথ উদ্যোগে দুর্গাপুরে এই আকাদেমি গড়ে ওঠে।২০০২ সালের ২০ জুলাই আবাসিক শিবির হিসেবে দুর্গাপুরে মোহনবাগান আকাদেমির পথ চলা শুরু। ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে,আরও বেশি করে দেশের প্রতিভাবান ফুটবলারদের তুলে আনার লক্ষ্য নিয়েই এই আকাদেমির পথ চলা শুরু।

দুর্গাপুরে মোহনবাগান ফুটবল আকাদেমির সাফল্য তরুণ প্রতিভাবান ফুটবলার তুলে আনা, এরাই আকাদেমির “ফসল”। এই নিয়ে আকাদেমির দায়িত্বতে থাকা প্রাক্তন ফুটবলার জো পল আনচেরির প্রতিক্রিয়া, “গত কয়েক বছরে মোহনবাগান সেল ফুটবল একাডেমি মনীশ ভার্গব (মোহনবাগান এসি), রাম মালিক (মোহনবাগান এসি), দীপেন্দু দোওয়ারি (ভবানীপুর স্পোর্টিং ক্লাব), সৌভিক চক্রবর্তী (মোহনবাগান এসি, ইউনাইটেড স্পোর্টস ক্লাব, দিল্লি ডায়নামোস,) এর মতো খেলোয়াড় তৈরি করেছে। জামশেদপুর এফসি), শঙ্কর ওরাওঁ (মোহনবাগান এসি), সাফার সরদার (ইস্ট বেঙ্গল), ভাশুম (ইস্ট বেঙ্গল, টিআরএইউ এফসি), প্রণয় হালদার (ডেম্পো এসসি, মোহনবাগান এসি, ইন্ডিয়া জাতীয় দল), তীর্থঙ্কর সরকার (মোহনবাগান এসি) , সঞ্জয় বোরো (আসাম ইলেকট্রিসিটি বোর্ড), অর্ঘা চক্রবর্তী (মোহনবাগান এসি), সৌরভ চক্রবর্তী (ভবানীপুর এসসি), টি. লালনুন পুইয়া (রাংদাজিয়াদ এফসি), অমিত সাহা (রাংদাজিয়াদ এফসি), আদর্শ লামা তামাং (মোহনবাগান এসি), সুদীপ্তা ব্যানার্জী (ভবানীপুর স্পোর্টিং ক্লাব) এবং আরও অনেকে যারা এখন ভারতীয় ফুটবলে আধিপত্য বিস্তার করছেন”।

মোহনবাগান সেল ফুটবল একাডেমি তার ক্যাডেটদের জন্য গর্বিত এই কারণে যে আকাদেমি থেকে উঠে আসা তরুণ ফুটবলারেরা ভারতীয় ফুটবলের এখন “ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার”।