Durand Cup: সেমিফাইনালের আগে জোড়া বদল বাগান একাদশে

গতবারের দাপুটে মরশুমের পর এবারও যথেষ্ট চনমনে রয়েছে মোহনবাগান। মরশুমের প্রথমে ডুরান্ড কাপে এসে প্রথম ম্যাচেই বাংলাদেশ সেনার বিরুদ্ধে বড় ব্যবধানে জয় পায় সবুজ-মেরুন।

Mohun Bagan XI

গতবারের দাপুটে মরশুমের পর এবারও যথেষ্ট চনমনে রয়েছে মোহনবাগান। মরশুমের প্রথমে ডুরান্ড কাপে (Durand Cup) এসে প্রথম ম্যাচেই বাংলাদেশ সেনার বিরুদ্ধে বড় ব্যবধানে জয় পায় সবুজ-মেরুন। তারপর দ্বিতীয় ম্যাচে আইলিগের শক্তিশালী দল পাঞ্জাব এফসির বিপক্ষে সহজ জয়। তবে শেষ পর্যন্ত তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব ইস্টবেঙ্গলের কাছে পরাজিত হতে হয় মেরিনার্সদের। যারফলে, একটা সময় গ্রুপ পর্ব থেকে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা কার্যত অসম্ভব হয়ে ওঠে। তবে শেষ পর্যন্ত সমস্ত জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ডুরান্ডের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে আসে সবুজ-মেরুন।

সেখানে তাদের মুখোমুখি হতে হয় শক্তিশালী মুম্বাই সিটি এফসির বিপক্ষে। তবে অতীতের পরিসংখ্যানের নিরিখে বাগান দল অনেকটা পিছিয়ে থাকলেও শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলের ব্যবধানে মুম্বাই বধ করে সেমিফাইনালের টিকিট সুনিশ্চিত করে হুয়ান ফেরেন্দোর ছেলেরা। আজ সেই সেমিফাইনাল ম্যাচ খেলতেই যুবভারতী স্টেডিয়ামে এফসি গোয়ার মুখোমুখি হতে চলেছে মোহনবাগান সুপারজায়ান্টস।

খাতায় কলমে প্রতিপক্ষ দলের থেকে বাগান শিবির অনেকটা এগিয়ে থাকলেও নতুন মরশুমে যথেষ্ট ছন্দে রয়েছে এফসি গোয়া। প্রথম থেকেই জয় এসেছে তাদের। এমনকি কোয়ার্টার ফাইনালে ও শক্তিশালী চেন্নাইন দলকে বড় ব্যবধানে পরাজিত করেছে মার্কেজের ছেলেরা। তাই আজকের লড়াই যে খুব একটা সহজ হওয়ার নয় তা ভালোই বুঝতে পারছেন ফেরেন্দোর।

সেইমতো আজ দুইটি বদল এনেছেন নিজেদের একাদশে এক্ষেত্রে চোটের সমস্যা কাটিয়ে সম্পূর্ণ ফিট হয়ে দলে ফিরে এসেছেন অজি তারকা দিমিত্রি পেট্রতোস। এছাড়াও দলে আনা হয়েছে আশিষ রাইকে। এক নজরে দেখা যাক বাগানের পূর্নাঙ্গ একাদশ। সাধারনভাবেই আজ দলের তিন কাঠি সামাল দিচ্ছেন বিশাল কাইথ। এছাড়াও দলের রক্ষনভাগে থাকছেন অধিনায়ক শুভাশিস বোসের সঙ্গে আনোয়ার আলি, হেক্টর ইউৎসে ও আশিষ রাই। মিডফিল্ডারদের মধ্যে আজ দলে থাকছেন অনিরুদ্ধ থাপা, সাহাল আব্দুল সামাদ, হুগো বুমোস।

পাশাপাশি আজ সেন্টার ফরোয়ার্ড হিসেবে শুরু করবেন অজি তারকা জেসন কামিন্স। এছাড়াও উইংয়ে থাকবেন আশিক কুরুনিয়ান ও দিমিত্রি পেট্রতোস। স্বাভাবিকভাবেই আজ ম্যাচের শুরুতে রিজার্ভ বেঞ্চে থাকছেন আর্মান্দো সাদিকু।