ক্রিকেটার ঋষভ পন্তের (Rishabh Pant) প্রত্যাবর্তনের পর থেকেই তাঁর ফিটনেস ও স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারের জন্য কঠোর এবং ব্যক্তিগতকৃত পুষ্টি পরিকল্পনা চালু হয়েছে। বর্তমানে পন্তের ব্যক্তিগত শেফ হিসেবে কাজ করছেন মুম্বাই-ভিত্তিক নীট মীলস-এর প্রতিষ্ঠাতা অক্ষয় অরোরা। তাঁর প্রধান দায়িত্ব হলো পন্তের প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসকে কড়া নজরে রাখা, যাতে তাঁর পুষ্টি পরিকল্পনার সঠিক বাস্তবায়ন নিশ্চিত হয়। এই পরিকল্পনায় শেফ অরোরাকে সহযোগিতা করছেন পুষ্টিবিদ শ্বেতা শাহ।
শ্বেতা শাহ বলেন, “ঋষভ সাধারণত হোটেলে খেতে যেতেন, কিন্তু সেখানে ভালো শেফের অভাব ছিল। এ কারণে তাঁর পুষ্টি পরিকল্পনা ঠিকভাবে অনুসরণ করা যাচ্ছিল না। তাই আমরা অক্ষয়কে নিয়োগ করি। এখন আমরা নিশ্চিত যে ঋষভ বিশুদ্ধ, নির্দিষ্ট খাদ্য গ্রহণ করছেন এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকে দূরে রয়েছেন।”
২০২২ সালের ডিসেম্বরের মর্মান্তিক গাড়ি দুর্ঘটনার পর পুনরুদ্ধারের পথে শ্বেতা পন্তের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট পুষ্টি পরিকল্পনা তৈরি করেন। সেই সময় থেকেই পন্তের খাদ্য তালিকায় অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি খাবার এবং পর্যাপ্ত হাইড্রেশন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যাতে ম্যাচের মধ্যে তাঁর দ্রুত পুনরুদ্ধার ঘটে।
হাং কার্ড: পুষ্টিগুণের নতুন সংযোজন
শেফ অরোরা খাদ্যকে উপভোগ্য এবং পুষ্টিকর রাখতে বিভিন্ন বৈচিত্র্যময় পদ তৈরি করেন, যা ঋষভকে খাবার নিয়ে আগ্রহী রাখে। শেফ অরোরা বলেন, “খাদ্যে বৈচিত্র্য তৈরি করার জন্য চালে বিভিন্ন রূপ এনে দেওয়া যায়, যেমন রাইস নুডল, ধোসা বা রাইস ক্র্যাকার। এই প্রক্রিয়ায়, ঋষভ যিনি নিজে খাদ্যরসিক, তাঁর জন্য খাবারকে আগ্রহজনক রাখা সম্ভব হয়।”
শেফ অরোরা বলেন, “ঋষভের পুষ্টি পরিকল্পনায় প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ নিশ্চিত করতে প্রতিদিনের খাবারের পুষ্টির ভারসাম্য বজায় রাখতে হয়। খেলার দিন কম কার্বোহাইড্রেট বা প্রোটিন খেলে, পরবর্তী দিনের খাদ্য তালিকায় সামঞ্জস্য করে সেই ঘাটতি পূরণ করা হয়।”
আবেগঘন মুহূর্ত: পন্তের প্রত্যাবর্তন
অরোরা অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে স্মরণ করেন পন্তের আইপিএল এবং টেস্ট ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনের মুহূর্তগুলো। তিনি বলেন, “চেন্নাইয়ে টেস্ট শতরান দেখা আমার জন্য বিশেষ স্মরণীয় একটি মুহূর্ত। যখন তিনি প্রথমবার আইপিএলে মাঠে নামলেন, সেই মুহূর্তটি আমি ভিডিও করে রেখেছিলাম। এটা আমার জন্য খুব আবেগঘন ছিল।”
ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে ব্যক্তিগত শেফের চাহিদা বৃদ্ধি
অরোরা আশা করেন, ভবিষ্যতে আরও ভারতীয় ক্রিকেটাররা ব্যক্তিগত শেফ রাখার দিকে ঝুঁকবেন। তিনি বলেন, “খেলোয়াড়রা এখন বুঝতে পারছেন যে বিশুদ্ধ খাবার এবং সঠিক পুষ্টি তাদের মাঠের পারফরম্যান্সে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য আনে। এর ফলে তাঁদের খেলার মেয়াদও দীর্ঘায়িত হয়।”