যন্ত্রণার অতল সাগরে ড্যানিয়েল চিমা চুকুউ

football

Sports desk: টানা সাত ম্যাচে জয়ের মুখ না দেখে আইএসএলের অষ্টম ম্যাচে ২০ মিনিটের মাথায় ফ্রি কিক থেকে আমির দেরভিসেভিকের গোলে ১-০ গোলের লিড নেয় এসসি ইস্টবেঙ্গল, লিগ টেবিলে চতুর্থ স্থানে থাকা হায়দরাবাদ এফসি’র বিরুদ্ধে।

Advertisements

২৮ মিনিটে দুরন্ত সুযোগ পায় হোসে মানুয়েল দিয়াজের লাল হলুদ শিবির, গোলের ব্যবধান বাড়িয়ে মানালো মার্কেজের দলের বিরুদ্ধে ডমিনেট করার।

   

আপফ্রন্টে থাকা ফুটবলার ড্যানিয়েল চিমা চুকুউ বিপক্ষের বক্সে অনসাইড পজিশনে লালরিনলিয়ানার পাসিং থেকে বল পেয়েও নাইজেরিয়ান ফুটবলার চুকুউ বিপক্ষ দলের গোলকিপার কাট্টিমানিকে একের বিরুদ্ধে এক অবস্থায়(ওয়ান ইস্টু ওয়ান) এনেও বল জালে জড়াতে পারেনি।গোলের সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া এসসি ইস্টবেঙ্গল, যা ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। আইএসএলের টানা আট ম্যাচে জয় অধরা।

খেলার ৩৫ মিনিটের মাথায় ওগবেচের গোলে সমতায় ফিরে আসে হায়দরাবাদ এফসি। খেলা ১-১ গোলের সমতায়। অবশ্য এদিনের ম্যাচের ফলাফল রেফারির শেষ বাঁশি বাজতেই ১-১ গোলে ড্র হয়, এসসি ইস্টবেঙ্গল বনাম হায়দরাবাদ এফসি’র মধ্যে।

অবশ্য চুকুউ’র গোলের সুযোগ হাতছাড়া করার পিছনে বিপক্ষ দলের গোলকিপার কাট্টিমানির উপস্থিত বুদ্ধি ‘কাবিলে তারিফ’! সঠিক সময়ে বেরিয়ে এসে গোলমুখ ছোট করে, ফুটবলের ভাষায় গোলমুখ ‘ব্লক’ করে ক্ষণিকের ঘড়ির কাটায় চিমা চুকুউকে কিছুটা বিভ্রান্ত করে দেয় কাট্টিমানি। কোন পজিশনে শট নিলে বল জালে জড়াবে এমন ক্ষণিকের সিদ্ধান্তে চুকুউ হতচকিত হয়ে শট দ্বিতীয় পোস্টে রাখলেও গোলকিপার কাট্টিমানির জোড়া ফলা সঠিক সময়ে বেরিয়ে আসা এবং গোলমুখ ছোট করে দেওয়া, দুই’র মিশেলে এসসি ইস্টবেঙ্গল ১-০ লিড থেকে গোলের ব্যবধান বাড়াতে পারেনি।শুধুমাত্র হায়দরাবাদ এফসির গোলকিপার কাট্টিমানি’র এন্টিসেপেশনের জেরে।

বল পায়ে লাল হলুদ ফুটবলার লালরিনলিয়ানার আক্রমণের পর্যায় থেকে শুরু করে চুকুউ’র বিরুদ্ধে বলের মুভমেন্টের ওপর চোখ রেখে এন্টিসেপেশনের ভিত্তিতে দূর্গ সামলানো অসাধারণ ক্ষিপ্রতা গোলকিপার কাট্টিমানির, এককথায় অনবদ্য এবং উপভোগ্য মুহুর্ত।

Advertisements

অন্যদিকে,অনসাইড বক্সের ভিতর বল পেয়ে চুকুউ দেখে বিপক্ষ গোলকিপার কাট্টিমানি বেরিয়ে এসে গোলমুখ ছোট করে দিয়েছে,ওই সময়ে বিপক্ষ বক্সের আনাচে কানাচেতে কোনও লাল হলুদ ফুটবলার সার্পোটিং রোল প্লে করতে এগিয়ে আসে নি, দৌড়ে ম্যাচের গতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে।

ক্ষণিকের মুহুর্তে চুকুউ নিজেকে একা বুঝতে পেরে দ্বিতীয় পোস্টে শট রাখতে বাধ্য হয়, বিকল্প পথ না দেখে। কেরিয়ারে অবসর নেওয়ার পরেও ড্যানিয়েল চিমা চুকুউ’কে গত বৃ্হস্পতিবারের এই ম্যাচ হায়দরাবাদ এফসি’র বিরুদ্ধে দলের হয়ে গোল করে লিড না বাড়াতে পারার যন্ত্রণা কুঁড়ে কুঁড়ে ব্যথিত করবে, স্মৃতিপটে।

এসসি ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের গা’ছাড়া মনোভাব ম্যাচ চলাকালীন, গোলের ব্যবধান না বাড়াতে পারার বড় একটা কারণ। তাই হায়দরাবাদ এফসি’র বিরুদ্ধে ম্যাচের প্রি ম্যাচ প্রেস মিটে এসে এসসি ইস্টবেঙ্গল হেডকোচ হোসে মানুয়েল দিয়াজ ক্ষোভের সুরে বলেই দিয়েছিলেন, “দলের ফুটবলারদের মাঠে সিদ্ধান্ত নিতে না পারার ক্ষমতাকে” দলের সামগ্রিক ব্যর্থতার ময়নাতদন্ত করার প্রসঙ্গে।

ম্যাচের ৫৩ মিনিটে এডু গার্সিয়া হায়দরাবাদের হয়ে অন টার্গেট শট নিলেও গোল করতে পারেনি। ৬৪ মিনিটে দিয়াজ বলবন্ত সিং এবং হাওকিপকে নামায় চুকুউ এবং অমরজিৎ সিং এর পরিবর্তে।৭৬ মিনিটে রাজু গায়কোয়াড এবং লালরিনলিয়ানার পরিবর্তে মাঠে নামে নওরেম সিং ড্যানিয়েল গোমস। ৮২ মিনিটে জোড়া বদল কাজে এসেছিল লাল হলুদ শিবিরের পক্ষে। মহম্মদ রফিকের দুরন্ত ক্রস হায়দরাবাদ এফসি’র বক্সে ভেসে আসে,বলবন্ত সিং’র কাজ ছিল বলে মাথা ছুঁয়ে দিয়ে বিপক্ষের জালে বল জালে জড়িয়ে দেওয়া, কিন্তু বলবন্তের হেডার অফটার্গেট হয়, বেরিয়ে যায়, গোলের ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ ফের হাতছাড়া করে এসসি ইস্টবেঙ্গল।

৯০ মিনিটের খেলা শেষের অতিরিক্ত সময়ে নওরেম সিং গোলের সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি। খেলা ১-১ গোলে ড্র হয়।