কিছুদিন আগেই খুলে গিয়েছে দল বদলের বাজার। তারপর থেকেই দল গঠনের কাজে তৎপরতা দেখাতে শুরু করেছে দেশের অধিকাংশ ফুটবল ক্লাব। আসলে গত মরসুমের ভুল ত্রুটি শুধরে নিয়ে আসন্ন সিজনে নিজেদের মেলে ধরতে মরিয়া প্রতিটি ফুটবল ক্লাব। এক্ষেত্রে প্রথম থেকেই সকলের নজর রয়েছে কলকাতা ময়দানের দুই প্রধান তথা ইমামি ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের দিকে। তবে খুব একটা পিছিয়ে নেই টুর্নামেন্টের অন্যান্য ফুটবল দল গুলি। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই খেলোয়াড় চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে উঠে আসতে শুরু করেছে দক্ষিণের দুই শক্তিশালী ফুটবল ক্লাবের নাম।
এক্ষেত্রে চেন্নাইয়িন এফসির তুলনায় বেশ কিছুটা এগিয়ে কেরালা ব্লাস্টার্স। গত মঙ্গলবার দলের তারকা ডিফেন্ডার মিলোস ড্রিনসিচকে বিদায় জানিয়েছিল ম্যানেজমেন্ট। স্বাভাবিকভাবেই নতুন চমক যে অপেক্ষা করে রয়েছে সমর্থকদের জন্য সেটা জানা ছিল সকলের। মিলোসকে বিদায় জানানোর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই নয়া কোচ নিয়োগের কথা জানিয়ে দেয় কেরালা ব্লাস্টার্স। এক কথায় যা বিরাট বড় চমক ছিল সকলের জন্য। তবে সেখানেই শেষ নয়। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই দলের নয়া ডিফেন্ডারকে চূড়ান্ত করে ফেলবে ম্যানেজমেন্ট।
সেইমত একাধিক ফুটবলারদের দিকে নজর রয়েছে ডেভিড কাতলার এই ফুটবল ক্লাবের। যার মধ্যে এবার ব্যাপকভাবে উঠে আসতে শুরু করেছে জ্যাকব পোকোর্নির (Jakub Pokorný) নাম। বর্তমানে সেই দেশের প্রথম ডিভিশনের ফুটবল ক্লাব এসকে সিগমা ওলোমোকের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন বছর আঠাশের এই ফুটবলার। তবে শুধুমাত্র রক্ষণভাগ সামাল দেওয়াই নয়। সেই লিগে ২৭টি ম্যাচ খেলে ২টি গোলের পাশাপাশি ১টি অ্যাসিস্ট ও থেকেছে এই ফুটবলারের। যা নিঃসন্দেহে নজর কেড়েছে সকলের। সবদিক মাথায় রেখেই তাঁকে ভারতে আনতে মরিয়া একাধিক ফুটবল ক্লাব।
হিসাব অনুযায়ী দেখলে চলতি জুনের শেষ পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে চুক্তি রয়েছে এই ফুটবল ক্লাবের। তারপরেই এই ডিফেন্ডারকে ভারতে আনতে আগ্ৰহী কেরালা ব্লাস্টার্স। সেইমত কথাবার্তা ও নাকি এগিয়ে গিয়েছে অনেকটা দূর। পাশাপাশি এই তারকার দিকে নাকি নজর রয়েছে চেন্নাইয়িন এফসির। শেষ পর্যন্ত আদৌ তিনি কোথায় যোগদান করেন এখন সেটাই দেখার।