২০২৩ সালের বিশ্বকাপ (CWC23-World Cup) শুরু হয়ে গিয়েছে শুক্রবার হায়দরাবাদে পাকিস্তান ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়। এই ম্যাচে নেদারল্যান্ডস দল পরাজিত হয়েছে। তবে ম্যাচে এমন একজন খেলোয়াড় ছিলেন যিনি ভক্তদের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এই তরুণ খেলোয়াড় আর কেউ নন, ডাচ অলরাউন্ডার বেস ডি লেডে। তিনি প্রথমে ভাল বোলিং করে চারটি উইকেট নিয়েছিলেন। এরপর ৬৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে ব্যাটিংয়ে চমক দেখান তিনি।
হায়দরাবাদে পাকিস্তানের বিপক্ষে অলরাউন্ড পারফরমেন্স করে একটি বিশেষ লিস্টে যোগ দিয়েছেন বাস ডি লিড। তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপে অভিষেকের সময় চার উইকেট ও একটি হাফ সেঞ্চুরি করার কীর্তি গড়েন তিনি। তার আগে মাত্র দু’জন খেলোয়াড় এই বিশেষ কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন। এই তালিকায় ডানকান ফ্লেচার এবং নিল জনসনের নাম অন্তর্ভুক্ত ছিল। বিশ্বকাপের ইতিহাসে ২৪ বছর পর আবারও এমন ঘটনা ঘটল। ১৯৯৯ সালে শেষবার এমন পারফরম্যান্স করেছিলেন নিল জনসন।
A sensational four-wicket haul on #CWC23 debut for Bas de Leede 👊#PAKvNED 📝: https://t.co/g7GsWb5pp6 pic.twitter.com/7qDTnlRCqn
— ICC (@ICC) October 6, 2023
বিশ্বকাপে অভিষেকের সময় ৪ উইকেট ও হাফ সেঞ্চুরি করা খেলোয়াড়রা:
= ডানকান ফ্লেচার (জিম্বাবুয়ে) – অপরাজিত ৬৯ ও ৪২ চার উইকেট, বনাম অস্ট্রেলিয়া – ১৯৮৩
= নিল জনসন (জিম্বাবুয়ে) – ৫৯ রান ও ৪২ রান চার উইকেট, বনাম কেনিয়া – ১৯৯৯
= বাস ডি লিড (নেদারল্যান্ডস)- ৬৭ রান ও ৬২ রান চার উইকেট, বনাম পাকিস্তান – বছর ২০২৩
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে বাস ডি লিড তার দলের হয়ে মোট নয় ওভার বোলিং করেছিলেন। এদিকে, তিনি ৬.৮৮ এর ইকোনমিতে ৬২ রান ব্যয় করে সর্বাধিক চারটি উইকেট নিতে সক্ষম হন। মহম্মদ রিজওয়ান, ইফতিখার আহমেদ, শাদাব খান ও হাসান আলী আউট হন তার বলে। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৬৮ বল খেলে ৬৭ রান করেন তিনি। এই ইনিংসে ছয়টি চার ও দুটি ছক্কা মেরেছিলেন।