কলকাতা: সালটা ২০১১। মোহনবাগানে (Mohun Bagan) তখন খেলছেন সংগ্রাম মুখার্জি, রাকেশ মাসি, সুনীল ছেত্রী, সৈয়দ রহিম নবিরা। ওই বছরের মাঝামাঝি সময়ে সবুজ মেরুন ক্লাবে এসেছিলেন এক তরুণ বঙ্গ সন্তান। ছোটোখাটো ছিপছিপে চেহারার এক ফুটবলার। মাঝমাঠে খেলেন। নাম জুয়েল রাজা (Jewel Raja)।
ডার্বিতে জোড়া ফ্রি-কিক, ইস্টবেঙ্গলের নয়নের মণি! আজ কোথায় ডো ডং?
খোঁজখবর নিয়ে জানা গিয়েছিল ছেলেটা নাকি ইন্ডিয়ান অ্যারোজের হয়ে খুব ভাল খেলেছে। অ্যারোজ থেকে মোহনবাগানে, তারও আগে ছিলেন ডেম্পোতে। মোহনবাগানের হয়ে খেলে নিজের প্রতিভার পরিচয় দিয়েছিলেন শেখ জুয়েল রাজা। বজবজের এই তরুণ ফুটবলার ধীরে ধীরে সবুজ মেরুন দলের নির্ভরযোগ্য সদস্য হয়ে উঠেছিলেন।
মাঝমাঠে ভাল বল ডিস্ট্রিবিউশনের জন্য পরিচিতি লাভ করেছিলেন জুয়েল। সেই সঙ্গে লড়াকু মানসিকতা। গোল করতেও জানেন। মোহনবাগানের হয়ে বহু ম্যাচ খেলা জুয়েল করেছিলেন একাধিক গোল। ময়দানে তখন ওডাফা ওনিয়েকা ওকোলি, টোলগে ওজবেদের নিয়ে দারুণ চর্চা। এর মধ্যে নিজের জন্য আলাদা করে জায়গা তৈরি করে নেওয়া সহজ কাজ নয়। জুয়েল পেড়েছিলেন।
ভাগ্য আরও একটু সুপ্রসন্ন থাকলে হয়তো একটা আই লিগও জিতে নিতে পারতেন। ২০১২-১৩ মরসুমে মাত্র ৩ পয়েন্টের জন্য আই লিগ ট্রফি হাতছাড়া করেছিল মোহনবাগান। ২০১১-১৩, এই দুটো বছর জুয়েল রাজার কেরিয়ারের সেরা সময়। মোহনবাগানের পাশাপাশি খেলছিলেন ভারতের হয়ে। টিম ইন্ডিয়ার হয়েও বেশ কিছু ম্যাচে নেমেছিলেন, গোল করেছিলেন। নেহেরু কাপ, সাফ চ্যাম্পিয়ন্সশিপ জয় করেছিলেন। মোহনবাগানের পর যোগ জুয়েল ডেম্পোতে যোগ দিয়েছিলেন। তারপর গোয়া হয়ে এটিকে।
৪ গোলে জিতে শীর্ষ স্থানেই East Bengal FC
ততক্ষণে নিজের সেরা সময়টা অতিক্রম করেছিলেন জুয়েল। পরে পুনে সিটি, মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে খেলেছিলেন। এক সময় ভারতীয় ফুটবলে সাড়া ফেলে দেওয়া সেই জুয়েল রাজা এখন কোথায়? জুয়েল চাকরি পেয়ে গিয়েছিলেন। এখন তিনি চাকরি। রয়েছেন CESC-তে।