নিয়মরক্ষার ম্যাচের পূর্বে কোহলিকে নিয়ে বিরাট ঘোষণা সুনীলের

মাত্র চারটি বল। তারপরই ড্রেসিংরুমে ফিরে গেলেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। স্কোরবোর্ডে শূন্য। কিন্তু মাঠ জুড়ে তখনও করতালির ঢেউ। অ্যাডিলেড ওভালে দাঁড়িয়ে দর্শকরা উঠে অভিবাদন জানালেন সেই মানুষটিকে, যিনি এই মাঠে এর আগে ৯৭৫ রান করেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। ব্যাট ব্যর্থ হলেও মুগ্ধতা রইল আগের মতোই। বিরাটও হাত তুলে গ্লাভস নাড়িয়ে সেই ভালোবাসার জবাব দিলেন। তারপর মাথা নিচু করে ঢুকে গেলেন প্যাভিলিয়নে।

Advertisements

তবু এই ছোট্ট মুহূর্তই বড় করে দেখছে ক্রিকেটবিশ্ব। প্রশ্ন উঠছে, কীসের ইঙ্গিত বিরাটের? অ্যাডিলেডে তাঁর শেষ ইনিংস হয়ে গেল? সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে জল্পনা, ‘কোহলি কি বিদায়ের পথে?’ কেউ লিখছেন, “অ্যাডিলেডই বুঝি শেষ অধ্যায়ের শুরু।” কেউ আবার বলছেন, “বিরাটের মতো ক্রিকেটারকে আমরা এখনই বিদায় দিতে পারি না।”

মোহনবাগান নয়, বেঙ্গালুরুতেই খেলবেন রায়ান উইলিয়ামস

একদিনের ক্রিকেটে এর আগে কখনও পরপর দু’ম্যাচে শূন্য পাননি বিরাট। অথচ পার্থে শূন্যের পর অ্যাডিলেডেও একই পরিণতি। ক্রিকেটবিশেষজ্ঞদের মতে, বড় ব্যাটসম্যানের জীবনে এমন সময় আসেই। কিন্তু বিরাটের মতো নির্ভরযোগ্য ব্যাটারের ক্ষেত্রে পরপর ব্যর্থতা স্বাভাবিকভাবেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।

এই জল্পনার মাঝেই শোনা গেল ভারতের কিংবদন্তি সুনীল গাভাসকরের কণ্ঠস্বর। তিনি এক সংবাদচ্যানেলে বললেন, “বিরাটের অবদান তুলনাহীন। ওকে আরও সময় দিন। এক-দু’টি ব্যর্থতা ক্রিকেটের অঙ্গ। ওর ভেতরে এখনও অনেক ক্রিকেট বাকি আছে।”

Advertisements

virat-kohli-career-question-after-adelaide-duck

তবে চর্চার আগুনে ঘি ঢেলেছেন অফস্পিনার রবিচন্দন অশ্বিন। ম্যাচ শেষে হঠাৎই তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট, “Just leave it!” এর অর্থ কী, তা নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। কেউ বলছেন, হয়তো অশ্বিন হতাশ ভারতীয় সমর্থকদের উদ্দেশেই লিখেছেন এই বার্তা। কেউ আবার মনে করছেন, এর মধ্যে লুকিয়ে আছে গভীর তাৎপর্য।

অস্ট্রেলিয়ার কাছে সিরিজ হারের পরে ভারতীয় অধিনায়ক শুভমন গিল অবশ্য সমালোচনায় না গিয়ে বলেছেন, “রান যথেষ্ট তুলেছিলাম, কিন্তু ফিল্ডিংয়ে ভুলে ম্যাচ হাতছাড়া হয়েছে।” বিশেষ করে ম্যাথু শর্টের দুটি ক্যাচ পড়ে যাওয়া নিয়ে আক্ষেপ ঝরেছে তাঁর কণ্ঠে। অ্যাডিলেডের উইকেট নিয়ে শুভমনের মন্তব্য, “বল পুরনো হওয়ার পরে ব্যাট করা সহজ হয়ে গিয়েছিল। প্রথম দশ-পনেরো ওভারে একটু চ্যালেঞ্জিং ছিল।”