জয় দিয়ে রঞ্জিতে অভিযান শুরু করল বাংলা, ম্যাচের সেরা অভিজ্ঞ পেসার

bengal-starts-ranji-trophy-2025-with-win-over-uttarakhand

রঞ্জিতে (Ranji Trophy 2025) ছয় পয়েন্ট ঘরে তুলেই যাত্রা মরশুমে শুরু করল বাংলা। চতুর্থ দিনের অন্তিম লগ্নে উত্তরাখন্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ম্যাচের সেরা হলেন মহম্মদ শামি।

Advertisements

রঞ্জি ট্রফি ২০২৫ প্রথম ম্যাচে দাপুটে জয় দিয়ে অভিযান শুরু করল বাংলা। চতুর্থ দিনের নাটকীয়তায় ভরা এক উত্তেজক ম্যাচে উত্তরাখণ্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ৬ পয়েন্ট সংগ্রহ করল অভিমন্যু ঈশ্বরণের দল। ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন অভিজ্ঞ ভারতীয় পেসার মহম্মদ শামি, যিনি দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন।

চতুর্থ দিনের শুরুতে উত্তরাখণ্ড ছিল তুলনামূলক সুবিধাজনক জায়গায়। তাদের স্কোরবোর্ডে তখন ২ উইকেটে ৫৫ রান, লিড ৫৫ রানের। কিন্তু দিনের শুরুতেই চমক দেখান শামি। পুরনো বলে বিপজ্জনক সুইং করে টপ অর্ডার ভেঙে দেন তিনি। পরবর্তী সময়ে আকাশ দীপ, ঈশান পোড়েল এবং সুরজ সিন্ধু জয়সওয়াল যোগ দেন উইকেট উৎসবে। লাঞ্চের ঠিক পরের ওভারেই শামি দুটি পরপর বলে শেষ দুটি উইকেট তুলে নিয়ে ইনিংস শেষ করেন ১০০ রানে। বাংলার সামনে তখন লক্ষ্য মাত্র ১৫৬ রান।

Advertisements
দেশি কোচের হাতে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলুদ-নীলের!

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথমেই ধাক্কা খায় বাংলা। ৩৫ বলে ১৬ রান করে আউট হন প্রথম ইনিংসে ৯৮ রান করা সুদীপ চট্টোপাধ্যায়। এরপর দায়িত্ব নেন অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ। ৮২ বলে ৭১ রানের অনবদ্য ইনিংসে ছটি চারের মাধ্যমে দলকে জয়ের দোরগোড়ায় নিয়ে আসেন তিনি। তাঁর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন সুদীপ কুমার ঘরামি, যিনি ৪৬ রান করেন মাত্র ৪৭ বলে। জয় থেকে মাত্র ১ রান দূরে থাকা অবস্থায় অধিনায়ক ঈশ্বরণ সেই রান নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন।

এর আগে, প্রথম ইনিংসে উত্তরাখণ্ড মাত্র ২১৩ রানে গুটিয়ে যায়। ভূপেন লাবণী ৭১ রান করে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন। বাংলার হয়ে সুরজ সিন্ধু জয়সওয়াল ৪ উইকেট, ইশান পোড়েল ৩ এবং মহম্মদ শামি ৩ উইকেট নেন। জবাবে বাংলা প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটে ২৭৪ রান তুলে ৬১ রানের লিড নেয়। সেই ইনিংসের নায়ক সুদীপ চট্টোপাধ্যায় ২৬৪ বলে ৯৮ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেন। দুর্ভাগ্যবশত, সেঞ্চুরি থেকে মাত্র দু’রান দূরে ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হয়ে যান তিনি।

সুমন্ত গুপ্ত আরও এক উজ্জ্বল প্রতিভা হিসেবে নজর কেড়েছেন। তিনি ৮২ রান করেন এবং মধ্যভাগে দলের ইনিংসকে স্থিতিশীল করেন। বাংলার ইনিংসের ভিত গড়ার পিছনে এই দুই ব্যাটারের অবদান অনস্বীকার্য। ম্যাচ শেষে বাংলার জয় নিয়ে সিএবি সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “ভালো খেলুক না। এই তো শুরু।”