
সোমবার সক্কাল সক্কাল একটা খবর নিয়ে ময়দানে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। আইএফএ (IFA) সচিব সংস্থার লেটার হেডে কারও অনুমতি না নিয়েই নাকি আইএফএ-র লোগোটাই বদলে দিয়েছেন। লেটার হেডে শতাব্দী প্রাচীন বাংলার ফুটবল নিয়ামক সংস্থার তারা মার্কা প্রাচীন লোগোর বদলে আইএফএর শতবর্ষে যে লোগোটি প্রকাশিত হয়েছিল সেই (একজন ফুটবলারের ছবি) লোগোটি ব্যবহার করেছেন। দেখলাম আইএফএ সভাপতি অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন তিনি খুশী নন।
এক দৈনিকে তার যে বক্তব্য প্রকাশ হয়েছে তাতে স্পষ্টভাবে বর্তমান সচিব অন্যায় করেছেন বলে জানিয়েছেন আইএফএ সভাপতি অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়। এই লোগো বদল নিয়ে আমার এই প্রতিবেদন নয়। একটি বিশেষ কারনে এই প্রসঙ্গটা তুলে আনা তার জন্য এই ঘটনার অবতারণার প্রয়োজন ছিল। এই ঘটনা প্রমান করে দেয় আইএফএর গোষ্ঠী দ্বন্দের চিত্রটা। হয়ত পাঠক ভাববেন সামান্য একটা লোগো পরিবর্তন আর কি হতে পারে। সচিব ভুল বশত করে ফেলেছেন। সেটা ভাববার অবকাশ নেই তার কারন জয়দীপ মুখোপাধ্যায় আইএফএ সচিব হওযার প্রথম বর্ষের পূর্তির সময় বলেছিলেন আইএফএ-র লোগো তিনি রেজিস্ট্রেশন করাতে চান এর থেকে এটাই বোঝাযায় তিনি এর গুরুত্ব আগে থেকেই জানতেন। আর তার জন্যই এমন উদ্যোগ নিতে চেয়েছিলেন।
ময়দানে কান পাতলেই এখন শোনা যায় আইএফএতে এখন একাধিক গোষ্ঠী। একটা সচিবের গোষ্ঠী। একটা কোষাধক্ষের গোষ্ঠী। একটা চেয়ারম্যানের গোষ্ঠী। সভাপতি আবার কখনও কখনও সচিবের বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যেমে উষ্মা প্রকাশ করেন। গোষ্ঠীদ্বন্ধ্ব এমন পর্যায়ে ছিল একটা সময় যে বর্তমান সচিব পদত্যাগ করবেন বলে এক দীর্ঘ নাটক হয়েগিযেছিল এই আইএএফএ তেই। যদিও তিনি পদত্যাগ করেন নি। এখন আবার গোষ্ঠীদ্বন্ধ চরমে উঠেছে।
আইএফএতে নতুন কোষাধ্যক্ষ হয়েছেন বর্তমান আইএফএ চেয়ারম্যান সুব্রত দত্তের ভাই অণির্বান দত্ত। এটাকে কোনওভাবেই ভালোমনে নাকি মানতে পারেন নি বর্তমান সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায়। ময়দানের খবর প্রাক্তন কোষাধক্ষ কৃষ্ণেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় মারা যাওয়ার পর সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে এক বৈঠকে নিজে কোষাধক্ষ হওয়ার ইচ্ছ্বা প্রকাশ করেছিলেন অনির্বান। তখন জয়দীপ তাকে কোষাধ্যক্ষ ছাড়া যে কোন পদেই মানতে রাজী ছিলেন, কিন্তু কোষাধ্যক্ষ পদে প্রাক্তণ সচিব প্রদ্যৎ দত্তের ছেলে অনির্বাণ দত্তকে মানতে রাজী ছিলেন না জয়দীপ। তখন ভোটের রাস্তায় গিয়েছিলেন অনির্বান। তাতে সফলও হয়েছিলেন।
ইদানিং আইএফএ অফিসে যখন নতুন কোষাধ্যক্ষ উপস্থিত থাকেন তখন সচিব থাকেন বাইরে। সচিবের উপস্থিতির সময় কোষাধক্ষ থাকেন না। ইদানিং নতুন কোষাধ্যক্ষের সঙ্গে আইএফএ অফিসে আসতে দেখা যাচ্ছে একদা জয়দীপের আচরণে আইএফএ অফিসে বিমুখ হয়ে যাওয়া বেশকিছু ফুটবল কর্তা। এইসব চিত্র কি খুব মেলবন্ধনের ছবি প্রকাশ করছে। জানি না এর প্ৰভাব কাজে কতটা পড়বে। কোভিড সমস্যা কাটিয়ে আবার এবছর প্রিমিয়ার লিগ হওয়ার কথা। এসবের মধ্যেই আবার জুনে নতুন সভাপতি নির্বাচন আইএফএতে। তখন যদি বর্তমান সচিব জয়দীপে মুখোপাধ্যায়ের প্রতিনিধি না নির্বাচিত হন তাহলে নাকি পদত্যাগ করতে পারেন সচিব। এমনটাই ঘনিষ্ট মহলে জানিয়েছেন তিনি।