IFA Secretary: তাহলে কি বিদেশি ছাড়া হবে কলকাতা লিগ? ‘বিস্ফোরক’ আইএফএ সচিব

ভারতীয় ফুটবলের উন্নতির কথা মাথায় রেখে গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে এক নয়া সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় ফুটবল সংস্থা তথা এআইএফএফ (IFA)। তাদের তরফে ঠিক করা হয় যে আগামী দিনে রাজ্যের কোনো ফুটবল টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ দেওয়া হবে কোনো বিদেশি ফুটবলারকে।

Anirban Dutta is the President of IFA

ভারতীয় ফুটবলের উন্নতির কথা মাথায় রেখে গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে এক নয়া সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় ফুটবল সংস্থা তথা এআইএফএফ (AIFF)। তাদের তরফে ঠিক করা হয় যে আগামী দিনে রাজ্যের কোনো ফুটবল টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ দেওয়া হবে কোনো বিদেশি ফুটবলারকে।

যারফলে, ভারতীয় একাদশের উপর ভরসা করেই মাঠে নামতে হবে দল গুলিকে। সেই নিয়ে এআইএফএফ সভাপতি কল্যাণ চৌবে বলেছিলেন, একটা সময় রাজ্য তথা জাতীয় টুর্নামেন্ট গুলিতে দেখা যেত ভারতীয় তথা বাঙালি ফুটবলারদের দাপট। তবে সময়ের সাথে সাথে কমতে শুরু করে সেই সংখ্যা। বর্তমানে যেকেনো টুর্নামেন্টেই দেখা যায় বিদেশি ফলে একচেটিয়া আধিপত্য। যাদের যত বাজেট তাদের ততো ভালো বিদেশি।

অপরদিকে বর্তমানে বাঙালি তথা ভারতীয় ফুটবলারদের সংখ্যা হাতে গোনা মাত্র। তাই আমরা সেই হারানো গৌরব কে ফিরিয়ে আনতে চাই। সেজন্য, সমস্ত টুর্নামেন্ট গুলিতে কেবলমাত্র ভারতীয় ফুটবলারদের কেই খেলার সুযোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এতে আগামী দিনে নিজেদের মেলে ধরার একাধিক সুযোগ পাবেন দেশের উদীয়মান ফুটবলাররা।

যারফলে, আগামী জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ফেডারেশনের অনুমোদিত কোনো রাজ্য কিংবা জেলার ফুটবল টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ পাবেন না বিদেশিরা। যা নিয়ে রীতিমতো বিতর্কের ঝড় বইতে শুরু করেছে কলকাতা ফুটবল ময়দানে। এই নয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিতে দেখা গিয়েছে আনসুমানা ক্রোমা থেকে শুরু করে একাধিক বিদেশি ফুটবলারদের। তবে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের এই নয়া সিদ্ধান্ত নিয়ে এবার মুখ খুললেন আইএফএ সচিব অনির্বান দত্ত।

এবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, বিদেশিহীন ফুটবল লিগ হলে অনেক বাঙালি তথা ভারতীয় ফুটবলাররা সুযোগ পাবে। এটা অস্বীকার করার কোনো স্থান নেই। মূলত বাঙালি স্টপার ও বাঙালি স্ট্রাইকার আসার একটা পরিস্থিতি তৈরি হবে। তবে এক্ষেত্রে প্রিমিয়ার ডিভিশনের জন্য যে স্পনসরশিপ উঠে আসে সেই টাকাতেই কয়েক হাজার ছেলে-মেয়ে ফুটবল খেলে। এই বিষয় নিয়ে একাধিক সম্প্রচার মাধ্যম গুলিকে আমরা চিঠি দিয়ে গোটা বিষয়টি জানিয়েছি। তাদের মধ্যে একটি মাধ্যমের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে।

তাদের তরফে বলা হয়েছে, হেড অফিসের সাথে আলোচনার মাধ্যমে গোটা বিষয়টি জানানো হবে। এক্ষেত্রে আমাদের সম্প্রচার মাধ্যম গুলির কোনো আপত্তি না থাকলে আমরা বিদেশিহীন ফুটবল লিগ করার কথা ভাবছি। কিন্তু তাদের তরফ থেকে আপত্তি তোলা হলে এআইএফএফ কর্তাদের সঙ্গে আমাদের বৈঠকে বসতে হবে। কারন কোনো সম্প্রচার মাধ্যম রাজি না থাকলেও স্পনসরশিপ পাওয়ার ক্ষেত্রে দেখা দিতে পারে একাধিক সমস্যা। সেক্ষেত্রে অন্যান্য ডিভিশনের খেলা গুলি পরিচালনা করার ক্ষেত্রে তৈরি হবে নয়া সমস্যা। তবে বিদেশি ছাড়া যাতে লিগ পরিচালনা করা যায় সেই কথাই আমরা ভাবছি।