গত কয়েক বছর ধরেই ইনভেস্টর ইস্যু নিয়ে একাধিকবার উত্তপ্ত হয়েছে কলকাতা ময়দান। পূর্বে কোয়েস থেকে শুরু করে শ্রীসিমেন্টের মতো লগ্নিকারী সংস্থার সঙ্গে একাধিক বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছিল খোদ লাল-হলুদের অন্দরে। তবে বর্তমানে ইমামির সঙ্গে গাঁটছড়া বাধার পর থেকে এখনো শান্তি বজায় রয়েছে মশাল ব্রিগেডে।
তবে এবার ইনভেস্টর ইস্যু নিয়ে উত্তপ্ত সাদা-কালো (Mohammedan SC) ব্রিগেড। আসলে বিগত কয়েকবছর ধরেই বেশকিছু বিষয় কে কেন্দ্র করে লগ্নিকারী সংস্থার সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছিল মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। যারফলে একটা সময় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় যে এই আরেক প্রধানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চায় তাদের ইনভেস্টর বাঙ্কারহিল।
অথচ এই সংস্থার আশার পর থেকেই খুশির দিন এসেছিল রেড রোডের তাঁবুতে। বহু দিনের প্রতীক্ষার পর কলকাতা লিগ জিতেছিল মহামেডান। পাশাপাশি ভালো পারফরম্যান্স ও করতে শুরু করেছিল আইলিগ ও ডুরান্ডের মতো টুর্নামেন্টে গুলিতে। তবে গতবারের মতো এবার ও লগ্নিকারী সংস্থার সঙ্গে বিবাদ দেখা দেওয়ায় হতাশ সকলেই।
যারফলে আগামী মরশুমের জন্য দল গঠনের বিষয়টি ও বর্তমান রয়েছে বিষ বাঁও জলে। গত কয়েকদিন আগেই সাদা-কালো কর্তাদের তরফে জানানো হয়েছিল ক্লাবের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে বাঙ্কারহিলের সঙ্গে সমস্যা তৈরি হলেও আগামী মরশুমের জন্য দল গঠনের ক্ষেত্রে কোনো রকমের সমস্যা দেখা দেবে না। তবে সময় যতো এগোচ্ছে ততই খারাপ হচ্ছে পরিস্থিতি। নতুন করে দল গঠন তো দূরের বিষয়, ক্লাবের যেসমস্ত খেলোয়াড় কিংবা কোচদের সঙ্গে এক বছরের চুক্তি ছিল তাদের কে অবিলম্বে ছেড়ে দিচ্ছে মহামেডান। তবে যে সমস্ত খেলোয়াড়দের সঙ্গে বছর দুয়েকের চুক্তি ছিল তাদের ই একমাত্র দলে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই নিয়ে আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মহামেডান স্পোটিং ক্লাবের ফুটবল সচিব দীপেন্দু বিশ্বাস বলেন, আমাদের সঙ্গে লগ্নিকারী সংস্থার কর্তাদের কথা হয়েছে। আশা করা যায় আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই আবার আগের মতো হয়ে যাবে সমস্ত কিছু। তবে নতুন কোনো সংস্থার সঙ্গে চুক্তি থাকার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, বর্তমানে একটি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি থাকার অন্য কোনো সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করার কথা ভাবা হচ্ছে না তাদের তরফে।
তবে গত বছর থেকে শেয়ার সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে নাকি দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছিল দুই পক্ষের মধ্যে। প্রথম দিকে ৫০ শতাংশ শেয়ারের বিনিময়ে চুক্তি হলেও পরবর্তীকালে সেই পরিমাণ নাকি বাড়াতে চাওয়া হয় বাঙ্কারহিলের তরফ থেকে। সেইসংক্রান্ত বিষয়ে প্রশ্ন করলে, তা সম্পূর্ণ নাকোচ করে দেন দীপেন্দু বিশ্বাস।