চোট আঘাত সমস্যা আগেই ছিল। সমস্যা আরো বাড়ল। ওড়িশা এফসিকে রুখে নিয়ে পয়েন্ট সংগ্রহ করতে পারলেও একাধিক ফুটবলারের চোট সমস্যা ভাবিয়ে তুলেছে মোহন বাগান সুপার জায়ান্টকে। প্রশ্ন রয়েছে কিয়ান নাসিরিকে (Kiyan Nassiri) কেন্দ্র করেও।
বুধবার মোহন বাগান সুপার জায়ান্ট বনাম ওড়িশা এফসি ম্যাচের পর ঘুরেফিরে এসেছে চোট সমস্যার কথা। ২-২ ব্যবধানে ম্যাচ শেষ করে ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে এক পয়েন্ট পেয়েছে বাগান। খেলা চলাকালীন চোট পেয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন একাধিক ফুটবলার। সেটাই চিন্তা বাড়িয়েছে। ক্লিফোর্ড মিরান্ডা হোক কিংবা আর্মান্ডো সাদিকু, সবার মুখেই চোট প্রসঙ্গ।
আরও পড়ুন: Controversy: মোহনবাগান ম্যাচে রেফারির লাল কার্ড নিয়ে তৈরি একাধিক বিতর্ক
গোল না পেলেও প্রথমার্ধ থেকে ভালো খেলছিলেন কিয়ান নাসিরি। আক্রমণভাগে দৌড় জারি রেখেছিলেন বাগানের তরুণ তুর্কি। বিরতির পর পরিকল্পনায় কিছুটা বদল এনেছিলেন মোহন বাগান সুপার জায়ান্ট কোচ হুয়ান ফেরান্ডো। কিছুটা উইংয়ের দিকে সরিয়ে এনেছিলেন কিয়ানকে। প্রান্ত বরাবর গতি বাড়াতে পরিকল্পনায় বদল করেছিলেন হুয়ান।
সাহল আব্দুল সামাদ, অনুরুধ থাপা আগেই চোট পেয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন। গ্লেন মার্টিন্সও তাই। শেষ পর্যন্ত কিয়ানকেও তুলে নিতে হয় মাঠ থেকে। কতটা গুরুতর তার চোট?
আরও পড়ুন: Pro Kabaddi League: সচিনের আক্রমণে হিমশিম খেল জলদস্যুরা
ম্যাচের পর সাংবাদিক সম্মেলনে সবুজ মেরুন শিবিরের ক্লিফোর্ড মিরান্ডা বললেন, “ম্যাচের আগে ওয়ার্ম-আপেই হুগোর চোট লেগে যায়। তার পরে সহাল ও থাপা। এগুলো পেশীর চোট নয়, ওদের আঘাত করা হয়েছে। কারণ, খেলার ওপর ওদের নিয়ন্ত্রণ ভাল ছিল। কিয়ানের পেশীতে টান ধরে। তবে ফুটবলে এ রকম হয়ই… এত চোট-আঘাত নিয়ে খেলে যাওয়াটা খুবই কঠিন। তবে এমন যে হতে পারে, তা আমাদের ভাবনায় ছিল। তাই একটা ভাল দল গড়েছি আমরা।”