ইস্টবেঙ্গল (East Bengal FC) যেন এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। কলকাতা ময়দানে গত ম্যাচে শক্তিশালী পাঞ্জাব এফসির (Punjab FC) বিপক্ষে জয় নিশ্চিত করার পর এখন জামশেদপুর এফসির (Jamshedpur FC) বিপক্ষে এক ঐতিহাসিক জয়ে নিজেদের অবস্থান আরও শক্ত করেছে। শনিবার জামশেদপুরের বিপক্ষে ১-০ গোলের ব্যবধানে গুরুত্বপূর্ণ এই জয়ে লাল-হলুদ বাহিনীকে সাহায্য করেন দলের গ্রীক ফরোয়ার্ড দিমিত্রিয়স দিয়ামান্তাকস (Dimitrios Diamantakos)। এর ফলে পয়েন্ট টেবিলের দশ নম্বরে উঠে এসেছে ইস্টবেঙ্গল, যা দলের সমর্থকদের জন্য এক দারুণ সুখবর। একইসঙ্গে অ্যাওয়ে ম্যাচে হায়দরাবাদের (Hyderabad FC) বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে বড় ব্যাখ্যা দিলেন সৌভিক-নন্দ কুমারদের হেড স্যার অস্কার ব্রুজো (Oscar Bruzuon)।
ইস্টবেঙ্গলের কাছে পরাজিত হয়ে কী বললেন খালিদ জামিল?
এদিনের ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল। তবুও ম্যাচ শেষে তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করায় পয়েন্ট টেবিলে নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করে মশাল ব্রিগেড। এরই মধ্যে আগামী ম্যাচ তথা হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে অনিশ্চিত হেক্টর এবং রাকিপ। হেক্টর কার্ড সমস্যায় এবং রাকিপ চোটের কারণে খেলতে পারবেন না. তবে, লাল-হলুদ কোচ অস্কার ব্রুজো নিশ্চিত করেছিলেন যে দলের খেলার ধরনে কোনও পরিবর্তন আসবে না। তিনি বলেন, “দলের খেলায় কোনও পরিবর্তন আসবে না। দুজন খেলোয়াড় নেই ঠিকই, কিন্তু তাঁদের বদলে যাঁরা খেলবেন তাঁদের প্রতি বিশ্বাস আছে।”
অনবদ্য বিষ্ণু! জামশেদপুরকে হারিয়ে দশ নম্বরে মশালবাহিনী
মরশুমের শুরুতে ইস্টবেঙ্গলকে যেভাবে দেখা গিয়েছিল, বর্তমানে সেই দল অনেকটাই পরিবর্তিত। ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকারও দলের পরিবর্তন সম্পর্কে নিজের মতামত জানান। তবে, অস্কার ব্রুজো পুরো কৃতিত্ব দিয়েছেন ফুটবলারদের। তিনি বলেন, “আমি কিছুই করিনি। যা করার ফুটবলাররা করেছে। আমি যখন কোচ হিসেবে আসি তখন দলের পয়েন্ট শূন্য ছিল। এখন টিম অনেক আত্মবিশ্বাসী।”
জামশেদপুরের বিপক্ষে ইস্টবেঙ্গল একটি গুরুত্বপূর্ণ জয় পেলেও, আরও গোল করার সুযোগ ছিল। অনেকটা সুযোগ নষ্ট করেছেন নন্দ কুমার। দুটি শট পোস্টে লেগে ফিরে এসেছে। এই ব্যাপারে অস্কার ব্রুজো বলেন, “নন্দ মিস করেছে ঠিকই, কিন্তু মিস করার জন্যে সেই জায়গায় পৌঁছানো দরকার। নন্দ চেষ্টা ভালই করছে। গোল পেলেই ওর খেলা বদলে যাবে বলে আমার বিশ্বাস।”
Santosh Trophy: তৃতীয় জয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে সার্ভিসেস ও মণিপুর
অস্কার আরও জানালেন, ক্লেন্টনও ভাল খেলছে এবং তাঁর ভূমিকা দলের খেলায় গুরুত্বপূর্ণ। “ক্লেন্টন মরশুমের শুরুর থেকে এখন অনেক ভাল ফর্মে। ওর সেরাটা দেওয়া এখনও বাকি আছে,” বলছিলেন কোচ। এমনকি, দলের সামগ্রিক পারফরম্যান্স নিয়েও তিনি বেশ সন্তুষ্ট।
নাদালের একাডেমিতে প্রশিক্ষণের সুযোগ মায়ার
পরপর দুটি ম্যাচে জয়লাভের পরও ইস্টবেঙ্গলের কোচের চিন্তা ছিল রাকিপের চোট নিয়ে। রবিবার তাঁর পরীক্ষা হবে এবং তখনই জানা যাবে চোট কতটা গুরুতর। এই চোট নিয়ে অস্কার ব্রুজো যথেষ্ট চিন্তিত, কারণ রাকিপ দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইস্টবেঙ্গলের পারফরম্যান্সে এক নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে এবং তাদের সমর্থকরা এই নতুন যাত্রায় খুবই খুশি। দলের সকল খেলোয়াড় এবং কোচের সমন্বয়ে তারা এক নতুন সাফল্যের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।