এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের আর সপ্তাহ খানেকও বাকি নেই। তবে এখনও যে তাঁর দলের বেশ কিছু জায়গায় খামতি রয়েছে, তা স্বীকার করতে দ্বিধা নেই ভারতীয় দলের কোচ ইগর স্টিমাচের (Igor Stimac)। এর আগে দলের ডিফেন্ডারদের নিয়ে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছেন তিনি। এবার বাকি এক সপ্তাহে আক্রমণে ধার বাড়ানো এবং সেটপিস মুভমেন্টকে শক্তিশালী করতে চাইছেন তিনি।
স্টিমাচ বলেন, ‘এই শেষ এক সপ্তাহে আমাদের কয়েকটা ব্যাপার ঠিকঠাক করে নিতে হবে। সেটপিস নিয়ে যেমন কাজ করতে হবে, তেমনই আক্রমণ ও রক্ষণ বিভাগের কয়েকটি ব্যাপার আমাদের শুধরে নিতে হবে।’ বাছাই পর্বের আগে সম্প্রতি পরপর তিনটি প্রীতি ম্যাচে হেরেছে ভারতীয় দল। বাহরিন, বেলারুশ ও জর্ডনের কাছে এই তিন হারের পরে ভারতকে নিয়ে অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। আগামী সপ্তাহে বাছাই পর্বে যদিও ফিফা ক্রমতালিকায় তাদের চেয়ে নীচে থাকা দলের বিরুদ্ধে খেলবে ভারত। কিন্তু তার প্রস্তুতি যে এখনও সম্পূর্ণ হয়নি, তার ইঙ্গিত কোচের কথায় স্পষ্ট।
তিনি বলেন, ‘দলের কয়েকজনের চোট রয়েছে বলে কিছুটা সমস্যা আছে। তবে তাদের সারিয়ে তোলার জন্য যথাসাধ্য করার চেষ্টা করছি আমরা।’ এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে গ্রুপ ডি-র খেলাগুলি হবে কলকাতায়। এই গ্রুপে ভারত ছাড়াও রয়েছে হংকং, আফগানিস্তান ও কম্বোডিয়া। এরা প্রত্যেকেই ফিফা ক্রমতালিকায় ভারতের নীচে রয়েছে।
আগামী ৮, ১১ ও ১৪ জুন ম্যাচগুলি আয়োজিত হবে কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে। ২০২৩-এর ১৬ জুন থেকে এএফসি এশিয়ান কাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। অন্য দলগুলির চেয়ে অবশ্য আফগানিস্তান নিয়ে একটু বেশিই চিন্তায় রয়েছেন স্টিমাচ। তাঁর যুক্তি, ‘আফগানিস্তানের ছেলেরা শারীরিক ভাবে এগিয়ে। তাই শারীরিক ফুটবলটা বেশি খেলে ওরা। তা ছাড়া ওরা অনেকেই বিদেশের লিগে খেলে। আমাদের ছেলেদের সেই জায়গায় পৌঁছনোর চেষ্টা করতে হবে। সে জন্যই মনে হচ্ছে আফগানরা শক্তিশালী।’
এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বে ছ’টি গ্রুপের জয়ীরা যেমন মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে, তেমনই দ্বিতীয় স্থানাধিকারী দলগুলির মধ্যে থেকে সেরা পাঁচটি দলকে মূলপর্বে খেলার ছাড়পত্র দেওয়া হবে। ভারত টানা দ্বিতীয়বারের জন্য এই টুর্নান্টের মূলপর্বে যোগ্যতা অর্জন করার লক্ষ্য নিয়ে নামবে।