গত ২০১৯ সালে হিরো আইলিগে (iLeague) কলকাতার দুই প্রধানকে টেক্কা দিয়ে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল চেন্নাই সিটি এফসি (Chennai City FC)। তবে সেখানেই শেষ নয়। সেবার নিজেদের শেষ ম্যাচে মিনার্ভা পাঞ্জাব কে ৩-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে নাটকীয় ভাবে আই লিগ জয় করে রোহিত-রমেশের এই চেন্নাই। তবে সময়ের সাথে সাথে অনেকটাই বদলে গিয়েছে পরিস্থিতি। এবার নিজেদের স্পোর্টিং রাইটস হস্তান্তরের পথে হাঁটল চেন্নাই ম্যানেজমেন্ট। যারফলে, আগামী দিন নিয়ে ধোঁয়াশার মুখে আইলিগ জয়ীদের ভবিষ্যৎ।
বলাবাহুল্য, তামিলনাড়ুর ফুটবল অগ্ৰগতির ক্ষেত্রে সর্বদাই গুরু দায়িত্ব পালন করে এসেছে আই লিগ জয়ী এই ক্লাব। সুসাইরাজ থেকে শুরু করে নন্দকুমার শেখর ও আলেকজান্ডার রোমারিওর মতো তারকাদের পাশাপাশি একাধিক নতুন তারকাদের কে নিজেদের প্রতিভা তুলে ধরার সুযোগ দিয়ে এসেছে চেন্নাই। বর্তমানে যাদের অনেকেই মাঠ কাটাচ্ছেন আইএসএলের একাধিক ক্লাব গুলিতে।
তবে এখানেই শেষ নয়। রিক্রিয়েশন ক্লাবের পর তামিলনাড়ুর দ্বিতীয় ক্লাব হিসেবে প্রথম ডিভিশন খেলার নজির ও রয়েছে এই চেন্নাই সিটি এফসির। তারমধ্যে ২০১৯ সালে আইলিগ জয় অন্যতম মাত্রা যোগ করেছিল ভারতীয় ফুটবলে। এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন উরুগুয়ান তারকা ফরোয়ার্ড পেদ্রো মানজি।লিগ জয়ের পাশাপাশি চেন্নাইয়ের জার্সিতে মোট ২১ টি গোল করেছিলেন গোটা মরশুমে। যারমধ্যে ৪টি হ্যাট্রিক তাক লাগিয়েছিল সকলকে।
তবে পরবর্তীতে জাপানের একটি দ্বিতীয় ডিভিশনের ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি করেন এই ভরসাযোগ্য ফরোয়ার্ড। সেখানে কিছু সময় থাকলেও বর্তমানে রাজস্থান ইউনাইটেডের হয়ে খেলছেন এই তারকা। এই বিরাট সাফল্যের পরে ২০১৯ সালের শেষের দিকে সুইডিশ ক্লাব ‘এফসি বাসেল’ এর সঙ্গে মার্জ করার কথা উঠে আসে কর্মকর্তাদের তরফ থেকে।