কলকাতা লিগের (CFL 2025) প্রিমিয়ার ডিভিশন গ্রুপ ‘বি’তে সুপার সিক্সে (Super Six) জায়গা করে নেওয়ার লড়াই পৌঁছেছে রোমাঞ্চের শীর্ষে। একাধিক দলের মধ্যে পয়েন্টের ব্যবধান এতটাই কম, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বোঝা মুশকিল কারা পৌঁছবে চূড়ান্ত পর্বে। কার্যত প্রতিটি ম্যাচেই এখন ‘ফাইনাল’ হয়ে উঠছে দলের কাছে।
সবথেকে বড় চমক ডায়মন্ডহারবারকে (Diamond Harbour FC) হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলে নিজেদের দাপট বজায় রাখল ইউনাইটেড স্পোর্টস (United Sports Club)। ডুরান্ড কাপ ২০২৫ ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছনো এই দলকেই গ্রুপ বি’র গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ২-০ গোলে হারিয়ে চমকে দিয়েছে ইউনাইটেড স্পোর্টস। ম্যাচের শুরু থেকেই রক্ষণে এবং মাঝমাঠে দাপট দেখিয়েছে দল। এই জয়ের ফলে ১০ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে তারা।
অন্যদিকে, পুলিশ ক্লাবের বিরুদ্ধে দুরন্ত জয় ছিনিয়ে নিল ভবানীপুর (Bhawanipore FC)। ৪-০ গোলের বড় ব্যবধানে জিতে তারা ধরে রাখল নিজেদের তৃতীয় স্থান। ভবানীপুর খেলেছে ১১টি ম্যাচ, তাদের পয়েন্ট এখন ২১। গোল পার্থক্যের দিক দিয়ে এগিয়ে থাকায় এখনও সুপার সিক্সের দৌড়ে প্রবলভাবে টিকে রয়েছে এই ক্লাব।
এদিনের আরেক চমক পিয়ারলেস এসসি। গ্রুপের শীর্ষে থাকা ইউনাইটেড কলকাতাকে (United Kolkata SC) ১-০ গোলে হারিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিন পয়েন্ট অর্জন করল তারা। ফলে ১২ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে তারা উঠে এসেছে চতুর্থ স্থানে। একই পয়েন্টে রয়েছে ভবানীপুরও, কিন্তু এক ম্যাচ কম খেলার সুবাদে ভবানীপুর রয়েছে সুবিধাজনক জায়গায়।
গ্রুপ বি-তে এখনও শীর্ষে রয়েছে ইউনাইটেড কলকাতা। ১১ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ২৩ পয়েন্ট। তবে তাদের ফর্মে সাম্প্রতিক ধস চিন্তা বাড়াচ্ছে দলের কোচিং স্টাফদের। শেষ ম্যাচে পিয়ারলেসের কাছে হারের ফলে সুপার সিক্সে তাদের জায়গা এখন আর নিশ্চয়তা নয়।
ডায়মন্ড হারবার এফসি রয়েছে পঞ্চম স্থানে। ৯ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ১৮ পয়েন্ট। হাতে এখনও তিনটি ম্যাচ থাকায় তারাও লড়াইয়ে রয়েছে, তবে এখন আর কোনও ম্যাচে পয়েন্ট খোয়ানোর জায়গা নেই। এহেন পরিস্থিতিতে গ্রুপ ‘বি’ থেকে কোন তিন দল সুপার সিক্সে উঠবে তা নির্ধারিত হবে শেষ রাউন্ডের ম্যাচগুলোয়। প্রতিটি পয়েন্ট হয়ে উঠছে অমূল্য। কাগজে-কলমে এখনও প্রথম চার দলেরই সুযোগ রয়েছে পরবর্তী পর্বে যাওয়ার।
কলকাতা লিগে এভাবে একাধিক দলকে শেষপর্যন্ত সুপার সিক্সের জন্য লড়তে দেখা কমই হয়। মাঠের পারফরম্যান্স, দলগত সংহতি ও মানসিক দৃঢ়তা সবকিছুই এবার প্রভাব ফেলছে ফলাফলে। শহরের ফুটবলপ্রেমীদের কাছে তাই প্রতিটি ম্যাচ এখন একেকটা রুদ্ধশ্বাস নাটক।