জয় দিয়ে সুপার সিক্স শুরু লাল-হলুদের, পড়শীদের খোঁচা বিনো জর্জের

কলকাতা ফুটবল লিগের (CFL 2024) শুরু থেকেই দুরন্ত ছন্দে থেকেছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal )। একের পর এক প্রতিপক্ষ দল গুলির বিপক্ষে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল…

CFL 2024: East Bengal Begin Super Six

কলকাতা ফুটবল লিগের (CFL 2024) শুরু থেকেই দুরন্ত ছন্দে থেকেছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal )। একের পর এক প্রতিপক্ষ দল গুলির বিপক্ষে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল অতি সহজেই। এমনকি চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব মোহনবাগান সুপার জায়ান্টকে ও তাঁরা পরাজিত করেছিল অতি সহজেই। তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি লাল-হলুদ ব্রিগেডকে। যারফলে এবার টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ পয়েন্ট সংগ্রহ করার পাশাপাশি অপরাজিত থেকে সুপার সিক্সে উঠে আসে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব।

   

নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার কলকাতা লিগের সুপার সিক্সের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল এই প্রধান। যেখানে প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিল ক্যালকাটা কাস্টমস ফুটবল ক্লাব। সম্পূর্ণ সময়ের শেষে ৪-১ গোলের ব্যবধানে সেই ম্যাচ জিতে নেয় মশাল ব্রিগেড। এদিন দলের হয়ে গোল করেন যথাক্রমে শ্যামল বেসড়া, পিভি বিষ্ণু এবং আদিল আমাল। প্রতিপক্ষের তরফে একটি গোল করেন রবি হাঁসদা। সেই গোলেই একটা সময় এগিয়ে ছিল কাস্টমস দল। যদিও তা বেশিক্ষণ বজায় থাকেনি। পরবর্তীতে অতি সহজেই ম্যাচ ফিরে আসে বিনো জর্জের ছেলেরা। সেখান থেকেই সহজ জয়।

ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “প্রথমদিকে আমরা রক্ষণভাগে জোর দিলেও পরবর্তীতে আমরা আক্রমণের মধ্যে দিয়ে চাপ বাড়াতে শুরু করি।পরবর্তীতে আরও গোল পাই। তবে আমরা ম্যাচ প্রতি এগোতে চাই। আমাদের দলের কারুর অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস নেই। আমরা প্রতিটি দলকেই সমানভাবে গুরুত্ব দেই। তাছাড়া কলকাতা লিগ যথেষ্ট ভালো একটা প্ল্যাটফর্ম। বেশকিছু কঠিন ম্যাচ থাকে। সেগুলি ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে যথেষ্ট কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। আমাদের লক্ষ্য জয় ছিনিয়ে আনা। এতে সকলের সমর্থন দরকার।”

পাশাপাশি তরুণ ফুটবলারদের প্রসঙ্গে মোহনবাগানকে খোঁচা মেরে তিনি বলেন, ” মোহনবাগান দলে অনেক হাইপ্রোফাইল ফুটবলার আছে‌। যারা ম্যাচের রঙ বদলে দিতে পারে। কিন্তু তাহলে জুনিয়র ফুটবলারদের সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা কমতে থাকে। আমাদেরও অনেক ভালো ফুটবলার রয়েছে। তবে গত বছর সিনিয়র দলের সাথে সায়ন,জেসিন, বিষ্ণুরা‌ খেলেছে। এবার ও তাঁরা সিনিয়র দলে সুযোগ পাবে। সিনিয়রদের সাথে খেললেও তাঁদের আত্মবিশ্বাস ও অভিজ্ঞতা বাড়বে।”

আরও বলেন, “খুব তাড়াতাড়ি কখনও পেশাদার ফুটবলার তৈরি করা সম্ভব নয়। এটি দীর্ঘমেয়াদি পদ্ধতি। তবে আমাদের দলের অনেক প্রতিভাবান ফুটবলার রয়েছে‌। যারা ভবিষ্যতে সিনিয়র দলের জার্সিতে খেলবেন। ইস্টবেঙ্গল সঠিক পথেই এগোচ্ছে। দলের ইয়ুথ সিস্টেম যথেষ্ট ভালো। সিনিয়র দলের কোচ প্রতি ম্যাচেই মাঠে আসছেন। আমাদের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে। এটাই টিম ওয়ার্ক।”