খারাপ সময় যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না লাল-হলুদের (East Bengal)। আইএসএলে এই নিয়ে টানা তিনবার হতশ্রী পারফরম্যান্স করেছে ক্লাব। শুরুর দিকে সব ঠিকঠাক থাকলেও সময় যত এগিয়েছে ততই পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল শিবির। যা দেখে হতাশ আপামর লাল-হলুদ সমর্থকরা। সেই হতাশা কাটিয়েই পুরোনো ছন্দে ফেরার লক্ষ্য নিয়ে সুপার কাপ অভিযান শুরু করেছিল স্টিফেন কনস্ট্যানটাইনের ছেলেরা। তবে সেখানেও সেই হতাশাজনক পারফরম্যান্স কলকাতার এই প্রধানের। যারফলে তাদের সেমিফাইনালে ওঠা নিয়ে ও তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
উল্লেখ্য, প্রথম ম্যাচে ওডিশার বিপক্ষে এগিয়েছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল। তবে নন্দকুমারের করা গোলে ওডিশা সমতায় ফিরতেই ছন্দ পতন হয় লাল-হলুদের। যারফলে প্রথম ম্যাচ ড্র। দ্বিতীয় ম্যাচে হায়দরাবাদ এফসির বিপক্ষে ৩-১ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও শেষ হাসি হাসতে পারেনি দল। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি।
গতকাল এমনই এক ঘটনার সাক্ষী থেকেছে মাঞ্জেরীর পায়ানাদ স্টেডিয়াম। যা দেখে হতাশ সকলেই। ম্যাচ শুরুর আগে থেকেই বলা হয়েছিল, টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে গেলে আজকের ম্যাচ জিততেই হবে লাল-হলুদ কে। তারপরেও এই হতাশাজনক পারফরম্যান্স মেনে নিতে পারছেন না কেউ। এবার আইজল এফসির বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচ খেলবে ইস্টবেঙ্গল।
কিন্তু এখনি শেষ হয়ে যায়নি সমস্ত কিছু। এক কঠিন অঙ্কের ভিত্তিতে সেমিফাইনালে পৌঁছতে পারে লাল-হলুদ শিবির। এক্ষেত্রে দুটি পরিস্থিতি তৈরি হওয়া অত্যন্ত আবশ্যক। প্রথমত, শেষ ম্যাচ অর্থাৎ আইজল এফসির সঙ্গে প্রায় ৪ গোলের ব্যবধানে ম্যাচ জিততে হবে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কে। নাহলে কোনো আশা নেই।
তাছাড়াও গ্রুপের বাকি দুই দল অর্থাৎ হায়দরাবাদ এফসি ও ওডিশা এফসি কে ও ড্র করতে হবে পরষ্পরের বিপক্ষে। কিন্তু তাদের মধ্যে কেউ জিতলেই তারা চলে যাবে সেমিফাইনালে। দ্বিতীয়ত, যদি আইজল কে ৩ গোলে পরাজিত করে লাল-হলুদ শিবির এবং অমীমাংসিত থাকে ওডিশা-হায়দরাবাদ ম্যাচ, তাহলে গোলের দিক থেকে সমানে থাকবে ইস্টবেঙ্গল ও ওডিশা। এক্ষেত্রে মুখোমুখি গোলের নিরিখে সেমিতে চলে যেতে পারে ক্লেটনরা। তবে এককথায় এ বড় জটিল অঙ্ক।