পিছিয়ে থেকেও পয়েন্ট ছিনিয়ে নিয়েছে ইস্টবেঙ্গল, ম্যাচ শেষে কী বললেন বিনো জর্জ?

পুরনো হতাশা ভুলে এবারের কলকাতা ফুটবল লিগের (Calcutta Football League) শুরু থেকেই দুরন্ত পারফরম্যান্স থেকেছে ইমামি ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal)।  একের পর এক প্রতিপক্ষ দল গুলির…

Coach Bino George

পুরনো হতাশা ভুলে এবারের কলকাতা ফুটবল লিগের (Calcutta Football League) শুরু থেকেই দুরন্ত পারফরম্যান্স থেকেছে ইমামি ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal)।  একের পর এক প্রতিপক্ষ দল গুলির বিপক্ষে জয় এসেছে অতি সহজেই। তারপর আর খুব একটা সমস্যা হয়নি। বাকিদের টেক্কা দিয়ে অনায়াসেই লিগের সর্বোচ্চ পয়েন্ট সংগ্রহ করে সুপার সিক্সে উঠে আসে লাল-হলুদ ব্রিগেড। সেখানেও অপরাজিত রয়েছে ময়দানের এই প্রধান। সুপার সিক্সের প্রথম ম্যাচে অনায়াসেই তাঁরা পরাজিত করে ক্যালকাটা কাস্টমস ফুটবল ক্লাবকে। তারপর দ্বিতীয় ম্যাচে ও বজায় থাকে সেই একই ধারা।  বিরাট বড় ব্যবধানে নিউ আলিপুর সুরুচি সংঘকে পরাজিত করেছিল বিনো জর্জের (Bino George) ছেলেরা।

   

আরও পড়ুন:  বিশ্বকাপ এখন অতীত ! সেঞ্চুরি করে আফ্রিকাকে যোগ্য জবাব আফগান ব্যাটারের

কিন্তু তৃতীয় ম্যাচেই আটকে যেতে হয়েছে পড়শী ক্লাব মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের কাছে। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী শুক্রবার নৈহাটির বঙ্কিমাঞ্চল স্টেডিয়াম হাকিম সেগেন্ডোর ছেলেদের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল লাল-হলুদের ছোটরা। যেখানে প্রথম থেকেই দাপুটে পারফরম্যান্স ছিল সাদা-কালো ব্রিগেডের। তাই অনায়াসেই বামিয়া সামাদ ও সোরাইসাম সিংয়ের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল সাদা-কালো ব্রিগেড। যদিও শেষ পর্যন্ত বজায় থাকেনি সেই ধারা। জেসিন টিকের জোড়া গোলে সমতায় ফিরতে সক্ষম হয়েছে মশাল ব্রিগেড।

আরও পড়ুন: হলো না শেষরক্ষা, একা লড়েও ‘ফলো অন’ বাঁচাতে ব্যর্থ মিরাজ

সেই সুবাদেই পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়ে ইস্টবেঙ্গল। যারফলে খেতাব জয়ের দৌড়ে কিছুটা হলেও ধাক্কা খেল ময়দানের এই প্রধান। ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সেই প্রসঙ্গে বিনো জর্জ বলেন, ” আমরা চ্যাম্পিয়নশিপে থাকতে চাই। ইস্টবেঙ্গল বেশ কয়েক বছর ধরে কলকাতা ফুটবল লিগ জয় করেনি। সেটা আমাদের প্রধান লক্ষ্য। পাশাপাশি খেলোয়াড়রা সকলেই নিজেদের সেরাটা দিতে চান। এক্ষেত্রে প্রতিপক্ষ যথেষ্ট ভূমিকা রাখে। আমরা সকলেই জানি মহামেডানের পাশাপাশি ভবানীপুর থেকে শুরু করে ডায়মন্ড হারবার এফসির মতো দল গুলি কলকাতা লিগের জন্য একাধিক দাপুটে ফুটবলারদের আনে। তাঁদের সাথে খেললে ছেলেদের অনেকটাই উন্নতি হবে।”

আরও পড়ুন: অনুশীলন শুরু, ৬ বছর পর টেস্টে ফেরার জন্য প্রস্তুত হার্দিক

তিনি আরও বলেন, ” পরবর্তীতে এই দল থেকেই একাধিক ফুটবলার সিনিয়র দলে যাবে‌। তবে আমি ট্রফি জয়ের জন্য কোনো গণনায় বিশ্বাসী নই। শুধু জানি আমাদের চ্যাম্পিয়ন হতে হবে। আমি প্রতি ম্যাচের জন্য পৃথক পরিকল্পনা রাখি। ম্যাচ প্রতি আমরা এগোতে চাই। পরবর্তীতে আরও দুটো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ আছে। সেইমতো ছেলেরা নিজেদের প্রস্তুত করছে‌। ওরা ভালো পারফরম্যান্স করার জন্য মুখিয়ে রয়েছে‌। আগামী ম্যাচের জন্য দিন দুয়েকের সময় রয়েছে‌। সেখানেই সমস্ত কিছুর পরিকল্পনা করা হবে। তবে আমি মনে করি ট্রফি জয়ের জন্য তিনটি পয়েন্ট যথেষ্ট।”

হিসাব অনুযায়ী আগামী দুই ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট সংগ্রহ করতে পারলেই ট্রফি জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যাবে লাল-হলুদের। এক্ষেত্রে তাঁদের লড়াই করতে হবে শক্তিশালী ডায়মন্ড হারবার এফসি এবং ভবানীপুর ফুটবল ক্লাবের বিপক্ষে।