জিতেনের জোড়া গোলে টালিগঞ্জের বিপক্ষে জয় পেল ভবানীপুর

কলকাতা ফুটবল লিগে (Calcutta Football League) সহজ জয় পেল ভবানীপুর ক্লাব। পূর্ব ঘোষিত সূচী অনুযায়ী আজ বারাকপুর স্টেডিয়ামে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে টালিগঞ্জ অগ্রগামীর মুখোমুখি হয়েছিল…

Jiten Murmu

কলকাতা ফুটবল লিগে (Calcutta Football League) সহজ জয় পেল ভবানীপুর ক্লাব। পূর্ব ঘোষিত সূচী অনুযায়ী আজ বারাকপুর স্টেডিয়ামে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে টালিগঞ্জ অগ্রগামীর মুখোমুখি হয়েছিল ময়দানের এই দাপুটে ফুটবল‌ ক্লাব। নির্ধারিত সময়ের শেষে ৩-১ গোলের ব্যবধানে এই ম্যাচ জিতে নেয় ভবানীপুর। দলের হয়ে জোড়া গোল করেন দাপুটে ফুটবলার জিতেন মুর্মু। একটি গোল পান আজারউদ্দিন মল্লিক। অন্যদিকে, টালিগঞ্জ অগ্রগামীর হয়ে ব্যবধান কমান সঞ্জয় শর্মা।

বলাবাহুল্য, প্রতিপক্ষের তুলনায় প্রথম থেকেই ধারে ভারে এগিয়ে ছিল ভবানীপুর ক্লাব। গতবারের মতো এবারও প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগের টপ সিক্সে যেতে মরিয়া এই ফুটবল ক্লাব। সেজন্য, প্রথম থেকেই নিজেদের ছন্দ বজায় রাখতে তৎপর থেকেছে বাসুদেব মান্ডি’রা। ম্যাচের প্রথম থেকেই ছোট ছোট পাস খেলে আক্রমণে উঠে আসার চেষ্টা করেছে জিতেনরা। অপরদিকে, সুযোগ বুঝে প্রতি আক্রমণে উঠে আসার চেষ্টা করে টালিগঞ্জের ফুটবলাররা। প্রথমার্ধের ৪৫ মিনিটের মাথায় দুরন্ত হেড থেকে গোল করে যান জিতেন মুর্মু।

   

প্রথমার্ধের শেষে ১-০ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থাকে ভবানীপুর ফুটবল ক্লাব। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকেই ব্যবধান বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিল এই ফুটবল ক্লাব। প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের দক্ষ হাতে আটকে যেতে হয় জোজোদের। তারপর ৬৩ মিনিটের মাথায় টালিগঞ্জের রক্ষণভাগে ঢুকে পড়ে ভবানীপুর দলের ফুটবলাররা। সেখানেই আলতাব হুসেনদের বোকা বানিয়ে বল জালে জড়িয়ে যান আজারউদ্দিন মল্লিক। ফলাফল গিয়ে দাঁড়ায় ২-০ গোল।

তারপর থেকেই গোল শোধ করতে মরিয়া হয়ে ওঠে টালিগঞ্জ অগ্রগামী। ঠিক ৬৮ মিনিটের মাথায় মিস পাসের মাশুল গুনতে হয় ভবানীপুরকে। আচমকাই উইং থেকে বল ধরে এগিয়ে আসেন সঞ্জয় শর্মা। তাঁর দুরন্ত শটে গোল তুলে নেয় টালিগঞ্জ। ফলাফল গিয়ে দাঁড়ায় ২-১ গোল। সময় এগোনোর সাথে সাথে যথেষ্ট আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে দেখা যায় তাদের। কিন্তু প্রতিপক্ষের ভুল বোঝাবুঝির সুযোগ নেন ভবানীপুরের জিতেন মুর্মু।

মাঝমাঠ থেকে ভেসে আসা বলকে গোলরক্ষকের উদ্দেশ্যে এগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন টালিগঞ্জ দলের ডিফেন্ডার। সেই সময় বল ছিনিয়ে নিয়ে প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগ ভেঙে গোল বক্সে ঢুকে পড়েন তিনি। গোলরক্ষক কিছুটা এগিয়ে আসলেও ততক্ষণে বল গোলে ঠেলে দিয়েছেন ময়দানের এই পরিচিত মুখ। শেষ পর্যন্ত দুই গোলের ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করে ভবানীপুর। যারফলে, গ্রুপ পর্বের দুই নম্বরে উঠে আসল এই দল।