Asian Games থেকে ফ্লিপকার্টের ডেলিভারি বয়

সাইক্লিস্ট (Asian Games) হিসাবে বিশ্বজয়ের স্বপ্ন দেখা বরাহনগরের সঞ্জয় দাস এখন ডেলিভারি বয়। বহুজাতিক এক অনলাইন বিপণি সংস্থা ফ্লিপকার্টের।  ছোটোবেলা থেকেই খেলাধুলার প্রতি অদম্য আগ্রহ…

সাইক্লিস্ট (Asian Games) হিসাবে বিশ্বজয়ের স্বপ্ন দেখা বরাহনগরের সঞ্জয় দাস এখন ডেলিভারি বয়। বহুজাতিক এক অনলাইন বিপণি সংস্থা ফ্লিপকার্টের। 

ছোটোবেলা থেকেই খেলাধুলার প্রতি অদম্য আগ্রহ তাঁর। জন্ম থেকেই বিশেষভাবে সক্ষম তিনি। তবে শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে সঙ্গে নিয়েই অবলীলায় খেলতেন ক্রিকেট, ফুটবল। তবে এসব এখন অতীত সঞ্জয় দাসের জীবনে। বরং যে খেলাকে জীবনের জিয়নকাঠি করবেন ভেবেছিলেন, সেই খেলাধুলার প্রসঙ্গ উঠলেই বরং নিজেকে গুটিয়ে নেন। 

   

২০১৩ সালে প্যারা সাইক্লিস্ট হিসাবে প্যারা-এশিয়ান গেমসে দেশের হয়ে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। সরকারি আনুকূল্য ছাড়াই গাঁটের কড়ি ৯১০ টাকা খরচ করে চেপে বসেছিলেন দিল্লির উদ্দেশ্যে। ক্রিকেট-ফুটবলেও রাজ্যস্তরে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তবে ওখানেই শেষ। প্রবল আর্থিক কষ্টের মুখে পড়ে সঞ্জয় দাস নিজের খেলোয়াড়ি সত্ত্বাকে বিদায় জানিয়েছেন। 

“কী হবে খেলাধুলা করে। একসময় জাতীয় দলের হয়ে প্যারা এশিয়ান গেমসে জাপান, চীন, মালয়েশিয়ার মত দেশের প্রতিযোগীদের বিরুদ্ধে লড়ে চতুর্থ স্থানও পেয়েছি। তারপরেও তো কিছু হল না।”-জানিয়েছেন সঞ্জয়। তিনি আরো জানান, “বাবার চাকরি চলে যাওয়ার পরে ব্যাপক সমস্যায় পড়ে যাই। এশিয়ান গেমসে অংশ নিয়ে কলকাতায় ফিরে অন্য খেলায় ভাগ্য বদলের চেষ্টা করি। কাজের কাজ হয়নি। এরপরে বাধ্য হয়েই ফ্লিপকার্টের ডেলিভারি বয়ের চাকরি জুটিয়ে নিই।” প্রতিকুলতা শুধু আর্থিক ক্ষেত্রেই নয়, খেলার জগতেও মুখোমুখি হয়েছেন, “মালয়েশিয়া, চীন, জাপানের সাইক্লিস্টদের পরিকাঠামোগত সুবিধা রয়েছে। আমাদের পরিকাঠামো তো অনেক দূর, আমাদের দেশের প্রতিযোগীরা টুর্নামেন্টের প্রস্তুতির জন্য পর্যাপ্ত ডায়েটিংও করতে পারেন না। অর্থের অভাবে। এমন প্রতিবন্ধকতা নিয়েও ১.১৭.২৭ সেকেন্ডে ফিনিশ করে চতুর্থ স্থান অর্জন করেছিলাম।” 

কেন্দ্রীয় সরকার তো বটেই রাজ্য স্তরেও কোনও আর্থিক আনুকূল্য পাননি। প্রতিবন্ধী এথলিটদের জন্য রাজ্য স্তরে বিশেষ অনুদানের আবেদন করেছেন। তবে এখনও সেই আবেদন মঞ্জুর হয়নি তাঁর।