সদ্য সমাপ্ত জাতীয় গেমসে (National Games) বাংলা ১৬টি স্বর্ণপদক পেয়েছে। গতকাল বেঙ্গল অলিম্পিক এসোসিয়েশনের প্রাক্তন সভাপতি অজিত ব্যানার্জি এবং বর্তমান সভাপতি চন্দন রায়চৌধুরী বাংলার এই সাফল্যে উজ্জীবিত হয়ে জাতীয় গেমস এই রাজ্যে করার কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন জাতীয় গেমসে এটাই বাংলার সেরা পারফর্মেন্স স্বর্ণপদক পাওয়ার ক্ষেত্রে। সেই সঙ্গে বাংলার মাটিতে যাতে পরবর্তী জাতীয় গেমস করা যায় সেই ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন।মেঘালয়কে যদিও দেওয়া হয়েছে তাহলে তাদের ইনফ্রাস্ট্রাকচার নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তিনি মুখ্যমন্ত্রী ও ক্রীড়ামন্ত্রীর প্রশংসা করেছেন।
তবে ক্রীড়ামহললের প্রশ্ন, বাংলা যে ১৬টি স্বর্ণপদক পেয়েছে তার মধ্যে অ্যাটলেটিক্স, সুইমিংএ কটা? অ্যাটলেটিকে একটা। সেটাও রিলায়েন্স স্পোর্টস ফাউন্ডেশনের থেকে উঠে এসেছে। সুইমিং এ সৌবৃতি মন্ডলের সোনা পাওয়ার ক্ষেত্রে দিল্লিতে তার অনুশীলনের কথা তো সংবাদপত্রে প্রকাশ করেছে। বাংলায় তো আন্তর্জাতিক কোন সুইমিং পুল নেই।
তাঁরা বলছেন, গেমসে যে বাংলা স্বর্ণপদক পেয়েছে তার তো সবই ইনডোর স্পোর্টসে। আউটডোর ফেসিলিটি তো নেই। এই রাজ্যে অ্যাটলেটিক, সুইমিং কোনোটাতেই পরিকাঠামো নেই।
১৬ টি স্বর্ণ পদকের মধ্যে বারোটা এসেছে ইনডোর গেমস থেকে। জিমনাস্টিক এ পাঁচটা। টেবিল টেনিসের তিনটে। যোগাসনের তিনটে। লন বলে একটা। আর জিমন্যাস্টিকের ক্ষেত্রে রেলের সাহায্য করে। উত্তরাখনডের জনসংখ্যা ১০.০৯ মিলিয়ন আর পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যা ৯৯.৭২ মিলিয়ন ।অথচ বাংলায় একটা অ্যাথলেটিক্স ট্রেনিং নেওয়ার জায়গা নেই। একটা ইন্টারন্যাশনাল সুইমিং পুল নেই । এদিকে উত্তরাখন্ড ১০৩টি মেডেল পেয়েছে। তার মধ্যে সোনা ২৪টি, রুপো ৩৫টি আর ব্রোঞ্জ ৪৪টি। মোট পদকের সংখ্যা ১০৩ আর বাংলা মোট পদকের সংখ্যা ৪৭টি।
ক্রীড়াবিদরা ক্ষুব্ধ। তাঁরা বলছেন, চন্দন রায়চৌধুরী ও অজিত ব্যানার্জির মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া রয়েছে আর অজিত ব্যানার্জি যেহেতু মুখ্যমন্ত্রীর দাদা তাই তৃণমূলের পাবলিসিটি করার জন্য এই সাংবাদিক সম্মেলন। সেফ দি মিশন হয়েছেন বিশ্বরূপ দে, যিনি তৃণমূলের কাউন্সিলর।তিনি একসময় সিএবি সচিব ছিলেন এবং সেই সময় সৌরভ গাঙ্গুলী বিরুদ্ধেও অনেক বক্তব্য রেখেছিলেন। পরবর্তী ক্ষেত্রে যখন ঋদ্ধিমান সাহাকে বলতে গেলে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে অপমান করে রাজ্য ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছিল তখন কিন্তু বিশ্বরূপ দে কোন প্রতিবাদ করেননি।
তাঁরা এও বলছেন, দেরাদুন ছোট্ট পরিসরে এত বড় অনুষ্ঠান করেছে। বাংলা যদি জাতীয় গেমস করতে চাই তাহলে তার প্রস্তুতি তো আমাদের বাজেটে থাকতে হবে। এবং সরকারের অনুমতি ছাড়া জাতীয় গেমস করা যায় না। আর সরকারের যদি ইচ্ছে থাকে তাহলে এবছর বাজেটেই তার প্রতিফলন দেখতে পেতাম।