শেষ মরসুমে সার্জিও লোবেরার ওডিশা এফসিকে হারিয়ে কলিঙ্গ সুপার কাপ (Super Cup) জয় করেছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। সেই সুবাদে প্রায় ১২ বছর পর জাতীয় স্তরের কোনও ট্রফি আসে লাল-হলুদ তাঁবুতে। সেই নিয়ে যথেষ্ট খুশি ছিলেন সমর্থকরা। এই খেতাব জয় করার সুবাদেই এবার এএফসির টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করার ছাড়পত্র পেয়েছে কলকাতা ময়দানের এই প্রধান। গত বছরের শেষের দিকেই এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের গ্ৰুপ পর্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছেছে মশাল ব্রিগেড। আগামী মাসের প্রথম দিকেই তাঁরা লড়াই করবে শক্তিশালী আরকাদাগ এফসির সঙ্গে। যেদিকে তাকিয়ে বাংলার আপামর ফুটবলপ্রেমীরা।
এবারের ইন্ডিয়ান সুপার লিগে দলের পারফরম্যান্স খুব একটা ভালো না হলেও এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ থেকেই ঘুরে দাঁড়াতে বদ্ধপরিকর ময়দানের এই প্রধান। সেইসাথে গতবারের মতো এবারও সুপার কাপ জয় ধারা বজায় রাখতে চাইবেন ক্লেটন সিলভার দল। কিন্তু লড়াই টা এবার খুব একটা সহজ হবে না। আগেই জানা গিয়েছিল, যে এই সিজনে মরসুমে বদলে যাবে সুপার কাপের ফরম্যাট। তা সত্যি হলে এবার হয়তো বাড়ানো হবে ম্যাচের সংখ্যা। এমনকি নকআউট স্টেজের ক্ষেত্রেও থাকবে আমূল পরিবর্তন। কিন্তু কোথায় হতে চলেছে পরবর্তীসুপার কাপ? বিগত কয়েক মাস ধরে সেই নিয়েই দেখা দিয়েছে বহু জল্পনা।
পূর্বে শোনা গিয়েছিল, যে এবারের এই সুপার কাপ আয়োজনের ক্ষেত্রে বাকিদের তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে গোয়া। সেইমতো একাধিক লগ্নিকারী সংস্থার সঙ্গে ও নাকি কথাবার্তা শুরু করেছিল কতৃপক্ষ। তবে সেই নিয়েই এবার উঠে আসতে শুরু করেছে নয়া তথ্য। এবার নাকি গোয়ার পাশাপাশি সুপার কাপ আয়োজনের ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে বাংলা এবং ওডিশা। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। সেইমতো পাঠানো হয়েছে সমস্ত কাগজপত্র। যারফলে সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই চূড়ান্ত হয়ে যাবে এবারের সুপার কাপের ভেন্যু। এই প্রসঙ্গে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের মহাসচিব অনিল কুমার বলেন, “সুপার কাপ আয়োজনের জন্য আমাদের কাছে বাংলা, ওডিশা এবং গোয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। আমরা সংশ্লিষ্ট দলের কাছে নথিপত্র পাঠিয়েছি এবং এটি ফেরত পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছি। শীঘ্রই আমাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ।”
তবে মনে করা হচ্ছে অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় এক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে বাংলা। গত বছর জগন্নাথের রাজ্যে দিয়াগো মাউরিসিওদের পরাজিত করে এই খেতাব জয় করেছিল ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাব। সেক্ষেত্রে এবার বাংলার বুকে এই টুর্নামেন্ট আয়োজিত হলে অনেকটাই অ্যাডভান্টেজ থাকবে ইস্টবেঙ্গল সহ বাকি দুই প্রধানের কাছে।