বেশ কিছুদিন হল বাংলার দায়িত্বে এসেছেন। তবে দায়িত্বে এলেও সন্তোষ ট্রফিতে বাংলার ধারাবাহিক ভাবে ব্যর্থতা ভাবিয়ে তুলেছে সঞ্জয় সেনকে (Sanjoy Sen)। একদা আই লিগ, ডুরান্ড জয়ী অভিজ্ঞ কোচ মাঠে নামার আগে আত্মবিশ্বাসী থেকেও যেন একটু ‘সাবধানী’ হয়ে পড়েছেন। তবু বাংলার হয়ে সাফল্যের ‘মুখ’ হয়ে উঠতে এক কিংবদন্তি মেরিনার্স কেই ‘মন্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করতে চান বর্তমান বাংলার কোচ। গতকাল এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান, বাংলার হয়ে সাফল্য পেতে প্রাক্তন বাগান কোচ সুব্রত ভট্টাচার্যের ‘কৌশলই’ এই মুহুর্তে তাঁর প্রধান আস্থা।
বাংলা ফুটবল দলের দায়িত্বে প্রথমবার এলেও, এর আগে অনূর্ধ্ব ভারতীয় দলকে কোচিং করিয়েছেন সঞ্জয়। এছাড়াও এর আগে ইউনাইটেড স্পোর্টস, পৈলান অ্যারোজ, মহামেডান স্পোর্টিং, মোহনবাগানের মতো ক্লাবে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। এমনকি আইএসএলের প্রথম মরশুমে এটিকে মোহনবাগানের হয়ে ট্রফি নেওয়ার সময় হাবাসের সহকারী কোচ হিসেবে দলের ‘ব্যাকবোন’ হয়েও থেকেছিলেন তিনি। এছাড়াও ২০১৪-১৫ সালে সবুজ মেরুনের প্রধান কোচ হয়ে আইলিগ জিততেও সাহায্য করেন তিনি। তবে বর্তমানে বাংলার কোচ হিসেবে আসন্ন সন্তোষ ট্রফিতে সাফল্য পেতে প্রাক্তন বাগান কিংবদন্তি সুব্রত ভট্টাচার্যের উপদেশই মন্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছেন সঞ্জয় সেন। এ বিষয়ে সুব্রত ভট্টাচার্যের সাথে তাঁর বিস্তারিত কথা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমকে।
বাংলা দলে প্রথম সুযোগ পেয়ে সেটিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবেই দেখছেন সঞ্জয় সেন। গতকাল সংবাদমাধ্যমকে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমাকে সুযোগ দেওয়ার জন্য আইএফএকে ধন্যবাদ। বাংলা ফুটবলে প্রতিভা আছে সেটা আমি বিশ্বাস করি। সেগুলোকে তুলে ধরার যথাসাধ্য চেষ্টা করব।” তবে বাংলা ফুটবলের ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনা করার পাশাপাশি এদিন সঞ্জয়ের কথায় ধরা পড়ে সবুজ- মেরুন শিবিরের থেকে প্রাপ্ত ভালোবাসার ছবি। এদিন তিনি আরও বলেন ” মোহনবাগান থেকেই আমার শুরু। ওখানে সুব্রত দার সাথে আমার এখনও আলোচনা হয়। এবছরটা আশা করি ওনার কিছু ফর্মেশন ব্যবহার করতে পারব।”
তবে সঞ্জয়কে কোচ হিসেবে পেয়ে গর্বিত হয়েছে ইন্ডিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনও। বিগত সোমবার (৩০সেপ্টেম্বর) আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমাদের ফুটবল কমিটি কোচ বাছাই করেছে। ওঁর অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করেই উনি দায়িত্ব পেয়েছেন। আশা করছি ওঁর নেতৃত্বে বাংলা ভালো ফলাফল করবে।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে বাংলা ২০১৭ সালে শেষবার সন্তোষ ট্রফি জেতে মৃদুল ব্যানার্জীর অধীনে। এরপর থেকে আর ট্রফি আসেনি সল্টলেক স্টেডিয়ামের মাঠে। গতবছর সন্তোষ ট্রফির মূলপর্বে কোয়ালিফাই করতেও ব্যর্থ হয়েছিল জাতীয় স্তরে তিন বার সোনা জেতা এই দল। তবে গতবছরের ব্যর্থতা ভুলে এবারে সঞ্জয়ের (Sanjoy Sen) হাত ধরে সৌভিক-অমিত-সুরজিতরা সন্তোষ ট্রফিতে ভালো ফল করতে পারেন কিনা সেটা দেখতেই মুখিয়ে রয়েছে কলকাতাবাসী।