আইপিএল ২০২৫ (IPL 2025) শুরুর আগেই বিসিসিআই (BCCI) নিয়ে আসছে বড় পরিবর্তন? মাঠে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবার কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড, এমনই তথ্য প্রকাশিত হচ্ছে একাধিক রিপোর্টে। বিভিন্ন রিপোর্টে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী ক্রিকেটারদের (Cricketer) মাঠে অশোভন আচরণ, অসদাচরণ এবং অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এই নতুন নিয়ম।
আইপিএলের ১৮ তম মরসুমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (ICC) আচরণবিধি অনুযায়ী শাস্তি কার্যকর করা হবে জানা গিয়েছে। এর মাধ্যমে খেলোয়াড়দের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে। গত কয়েক বছর ধরে মাঠে খেলোয়াড়দের মধ্যে অশোভন আচরণ ও উত্তপ্ত পরিস্থিতি বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই বিসিসিআই এখন থেকে আইপিএলের ম্যাচে লেভেল ১, ২ ও ৩ অপরাধের জন্য আইসিসি অনুমোদিত শাস্তি প্রয়োগ কররতে পারে।
আইপিএলের পূর্ববর্তী সিজনে মাঠে বেশ কিছু অশান্তি দেখা গিয়েছিল। উদাহরণস্বরূপ, কলকাতা নাইট রাইডার্সের পেসার হর্ষিত রানা শাস্তির মুখোমুখি হন যখন তিনি SRH-এর মায়াঙ্ক আগরওয়ালকে আউট করার পর ফ্লাইং কিস ছুড়েছিলেন। এর জন্য তাকে ম্যাচ ফি ৬০% জরিমানা করা হয়। এছাড়া দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে একই ধরনের আচরণ করার জন্য তাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এই ধরনের ঘটনা আইপিএলের মধ্যে শৃঙ্খলার অভাব সৃষ্টি করে, যার কারণে মাঠে উত্তেজনা এবং বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।
ICC আচরণবিধির আওতায় আসা এই নতুন নিয়ম অনুসারে:
লেভেল ১: জরিমানা, ম্যাচ ফি কেটে নেওয়া এবং সতর্কবার্তা দেয়া হবে।
লেভেল ২: ম্যাচ সাসপেনশন বা জরিমানা বৃদ্ধি করা হবে।
লেভেল ৩: একাধিক ম্যাচে নিষেধাজ্ঞা বা পুরো টুর্নামেন্ট থেকে বহিষ্কার করা হতে পারে।
ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বিসিসিআই যদি এই পদক্ষেপ প্রয়োগ করে খেলোয়াড়দের জন্য ইতিবাচক হবে। কারণ মাঠে শৃঙ্খলা বজায় রাখা ক্রিকেটের মূল মৌলিক বিষয়। বিশেষ করে আইপিএলের মতো মঞ্চে তরুণ খেলোয়াড়রা সিনিয়রদের আচরণ দেখে শেখে। একে আইডল হিসেবে গ্রহণ করে, তাই তাদের জন্য শৃঙ্খলা ও পেশাদারিত্বের গুরুত্ব অপরিসীম। ক্রিকেটে শৃঙ্খলার অভাব তরুণ প্রজন্মের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে, তাই এই কঠোর নিয়মগুলি তাদের জন্য একটি দৃষ্টান্ত হতে চলেছে।
এছাড়া, আইপিএলের মতো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের টুর্নামেন্টে খেলা মানেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের সাথে প্রতিযোগিতা। সেখানে মাঠের আচরণ কেবল ব্যক্তিগত নয়, পুরো দেশের জন্য গর্বের বিষয়। তাই শৃঙ্খলা রক্ষা করা সকল খেলোয়াড়ের জন্য এক ধরনের দায়িত্ব, যা দেশপ্রেম এবং ক্রিকেটের প্রতি সম্মান ব্যক্ত করে।