ভারতের এশিয়া কাপ বয়কট গুজব! সত্যতা নেই, জানালেন বোর্ড সচিব

সাম্প্রতিক সময়ে ভারত-পাক রাজনৈতিক উত্তেজনার আবহে ক্রিকেট মহলে এক গুজব ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। জানা যায়, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (BCCI) এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (ACC) পরিচালিত আসন্ন…

BCCI denies reports of Asia Cup exit

সাম্প্রতিক সময়ে ভারত-পাক রাজনৈতিক উত্তেজনার আবহে ক্রিকেট মহলে এক গুজব ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। জানা যায়, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (BCCI) এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (ACC) পরিচালিত আসন্ন সমস্ত টুর্নামেন্ট, বিশেষ করে এশিয়া কাপ (Asia Cup) এবং মেয়েদের এমার্জিং টিম এশিয়া কাপ (Womens Emerging Teams Asia Cup) থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করতে চলেছে। তবে, এই খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা—এমনটাই জানালেন বিসিসিআইয়ের সচিব দেবজিৎ সইকিয়া।

সোমবার সকালে জাতীয় সংবাদমাধ্যম গুলিতে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়, যেখানে দাবি করা হয় যে বিসিসিআই শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া মেয়েদের এমার্জিং এশিয়া কাপে অংশ নেবে না। এমনকি সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠেয় পুরুষদের এশিয়া কাপ থেকেও ভারত নিজেদের সরিয়ে নিতে পারে। রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়, এই সিদ্ধান্তের মূল উদ্দেশ্য পাকিস্তান ক্রিকেটকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মূলধারা থেকে বিচ্ছিন্ন করা।

   

এই ধরনের রিপোর্ট সামনে আসতেই বিসিসিআই তরফে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানানো হয়। বোর্ডের সচিব দেবজিৎ সইকিয়া সংবাদ সংস্থা ANI-কে দেওয়া বিবৃতিতে স্পষ্ট করে বলেন, “সকাল থেকে যে রিপোর্টটি প্রচারিত হচ্ছে যে বিসিসিআই এশিয়া কাপ এবং মেয়েদের এমার্জিং টিম এশিয়া কাপ থেকে নাম তুলে নিচ্ছে, সেটি সম্পূর্ণভাবে ভিত্তিহীন। বিষয়টি নিয়ে বোর্ডের মধ্যে কোনও আলোচনাই হয়নি। আমরা এখন আইপিএল এবং ইংল্যান্ড সিরিজ নিয়েই ব্যস্ত।”

তিনি আরও বলেন, “এই ধরণের ভুয়ো খবর ছড়িয়ে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করা হচ্ছে। বোর্ডের পক্ষ থেকে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। যদি ভবিষ্যতে এই বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তাহলে তা বোর্ডের তরফ থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।”

Advertisements

এই বক্তব্যের মাধ্যমে বোর্ড একরকমভাবে স্পষ্ট করে দিল যে, আপাতত এশিয়া কাপ বয়কটের কোনও প্রশ্নই উঠছে না। কিছু সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে অপ্রমাণিত তথ্যে ভিত্তি করে খবর ছড়ানোর প্রবণতা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিসিসিআইয়ের ঘনিষ্ঠ মহল।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জটিলতা বহুদিন ধরেই ক্রিকেটে প্রভাব ফেলছে। তবে এসিসি পরিচালিত টুর্নামেন্টগুলিতে অংশগ্রহণ একক কোনও দেশের সিদ্ধান্ত নয়। এসব ইভেন্ট আইসিসি অনুমোদিত এবং এর সঙ্গে বহু দেশের স্বার্থ জড়িত। ফলে, ভারত যদি এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতও, সেটি শুধুমাত্র ক্রিকেট নয়, কূটনৈতিক মহলেও আলোড়ন সৃষ্টি করত।

অন্যদিকে, এসিসির বর্তমান সভাপতি হিসেবে পাকিস্তানের মন্ত্রী মোহসিন নকভির নাম উঠে আসায় অনেকেই বিষয়টিকে রাজনৈতিক রঙ দিতে শুরু করেন। তবে বোর্ডের তরফ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, সভাপতির নাম বা দেশের ভিত্তিতে কোনও টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ না করার মত অবস্থানে বিসিসিআই নেই।

সব মিলিয়ে বোর্ডের বক্তব্যে এখন স্পষ্ট আইপিএল ২০২৫ এবং আসন্ন ইংল্যান্ড সিরিজই তাদের প্রধান ফোকাস। এশিয়া কাপ নিয়ে কোনও আলোচনাই হয়নি। ক্রিকেটপ্রেমীদের উচিত নিশ্চিত ও অফিসিয়াল তথ্যের উপর ভরসা রাখা এবং বিভ্রান্তিমূলক খবর থেকে সতর্ক থাকা।