রাজ্যের আরও একটি ক্লাব পৌঁছল শতবর্ষে। একশো বছর অতিক্রম করল ব্যাটরা ইয়ং অ্যাথলেটিক ক্লাব। করোনা আবহ কাটিয়ে সাধারণ মানুষকে সুষ্ঠু জীবনে অঙ্গীকারবদ্ধ তারা। রবিবার আয়োজিত হয়েছিল বিশেষ অনুষ্ঠান। উপস্থিত ছিলেন এক ঝাঁক প্রাক্তন ফুটবলার।
এক দিকে ক্লাবের ১০০ বছর অন্যদিকে আবার করোনা পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে সবাই বেরিয়ে একত্রিত হয়ে আগামী ১০০র পথে এগিয়ে যাওয়া। হাতিয়ার খেলাধুলো। তাই তো তাঁরা ক্লাব প্রাঙ্গনে হাজির করেছিলেন অরুণ ঘোষ, রঘু নন্দী, শান্তা ধারার মতো ময়দানের প্রাক্তন ফুটবলারদের।
এদিন বৃক্ষ রোপণ করে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন ক্লাবের মহিলারা। এরপর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। সেই শোভাযাত্রায় উপস্থিত রইল ক্লাবের বিশাল ফুটবল দল, ছিল ক্যারাটে প্রশিক্ষনের দল। অনুষ্ঠান শুরু হয় সকাল ৮ টা নাগাদ, ১০০ বছরের ঘট স্থাপনের মাধ্যমে। এরপর অলিম্পিয়ান এবং এশিয়াডে ভারতের ফুটবল দলের অধিনায়কত্ব করা ফুটবলার অরুণ ঘোষ প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানকে এগিয়ে নিয়ে যান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন কাউন্সিলর বিভাস হাজরা।
এই প্রসঙ্গে রঘু নন্দী বলেন, “১০০ বছর মানেই একটা অন্য গুরুত্ব। তার সঙ্গে যদি খেলাধুলো জড়িত থাকে তাহলে তা অন্য মাত্রা পায়। করোনা কালে সব বাচ্চারা ঘরে থেকে থেকে মোবাইল গেমে আরও বেশি আসক্ত হয়ে পড়েছিল। ব্যাটরা ইয়ং এথলেটিক ক্লাব সেখান থেকে তাদের বার করে নিয়ে আসার দায়িত্ব নিয়েছে। এমন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারে সত্যিই ভালো লাগছে “।
বিভাস হাজরা বলেন , “এই একশো হল ম্যাজিক ফিগার। দেশের হয়ে ১০০ টেস্ট খেলা, ১০০ গোল করা সব কিছুরই দেখবেন একটা অন্য মাত্রা পায়। ব্যাটরা ইয়ং এথলেটিক ক্লাব সেই ১০০কে অত্যন্ত সুন্দর ভাবে সাজিয়েছে। আগামীর পাথেয় করে রাখতে বৃক্ষরোপণ করেছে। তার সঙ্গে এই যে খেলাধুলোর বিশেষ যোগ, করোনার জন্য এসব তো উঠেই যাচ্ছিল।মাঠগুলো কাঁদছিল। ব্যাটরা ইয়ং এথলেটিক ক্লাবের ও ছেলেরা তোরা কেন খেলা ছেড়ে শুধু পড়তে যাস? এই বলে ডেকে এনেছে।”
এছাড়া অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথিদের মধ্যে রয়েছেন- মন্ত্রী অরূপ রায়, প্রাক্তন বিধায়ক জটু লাহিড়ী, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, মনোজ তেওয়ারী, জগন্নাথ ভট্টাচার্য , সুজয় চক্রবর্তীর মতো বিশিষ্টরা।