ইস্টবেঙ্গলের কোর্টে বল, চূড়ান্ত চুক্তিপত্র পাঠিয়ে দিল শ্রী সিমেন্ট

স্পোর্টস ডেস্ক: ক্রমশ দুরত্ব বাড়ছে ইস্টবেঙ্গল এবং ইনভেস্টর শ্রী সিমেন্টের। দীর্ঘদিন ধরে ক্লাব কর্তা এবং বিনিয়োগকারীদের মতবিরোধ চলছে। বিভিন্ন সময়ে তা মেটানোর চেষ্টা হলেও এখনও…

স্পোর্টস ডেস্ক: ক্রমশ দুরত্ব বাড়ছে ইস্টবেঙ্গল এবং ইনভেস্টর শ্রী সিমেন্টের। দীর্ঘদিন ধরে ক্লাব কর্তা এবং বিনিয়োগকারীদের মতবিরোধ চলছে। বিভিন্ন সময়ে তা মেটানোর চেষ্টা হলেও এখনও পর্যন্ত সমাধানসূত্র অধরা। তারমধ্যেই খেলা হবে দিবসের সন্ধেয় ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে পরিমার্জিত এবং চূড়ান্ত চুক্তিপত্র পাঠাল ইনভেস্টর শ্রী সিমেন্ট। চুক্তিপত্র পাওয়ার পরই আইনজীবীদের কাছে তা পাঠিয়ে দেন ক্লাব কর্তারা।

Advertisements

গত বছর টার্মশিটে সইয়ের পর চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে সই করেনি ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। টার্মশিট আর চুক্তিপত্রের মধ্যে অসঙ্গতি থাকার দাবি তোলেন কর্তারা। মূলত দুটি শর্তে তাদের সমস্যা ছিল-

বিজ্ঞাপন

১. ট্রান্সফার অব রিয়াল প্রপার্টি: ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তাঁবু-মাঠ-গ্যালারি সবকিছু শ্রী সিমেন্টকে দিতে হবে। ক্লাবের তরফ থেকে বলা হয়েছে, এই সব কিছু ব্যবহারের জন্য সেনার অনুমতি প্রয়োজন। বিনিয়োগকারী সংস্থার বক্তব্য, সেনার কাছে নো অবজেকশন লেটার (এনওসি) দিতে হবে ক্লাবকে। তা মানতে নারাজ লাল-হলুদ কর্তারা।

২. মেম্বারশিপ: সদস্যদের সংখ্যা ইনভেস্টরকে জানাতে রাজি ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। কিন্তু সদস্যদের যাবতীয় তথ্য (নাম, ঠিকানাসহ সঠিক পরিচয়পত্র) জানাতে নারাজ তারা। তবুও এই বিষয়টি নিয়ে যথেষ্টই নরম সুর কর্তাদের। কিন্তু প্রথম বিষয়টি মানতে তারা অনড়।

যদিও শ্রী সিমেন্টের কর্ণধার হরিমোহন বাঙুর অবশ্য স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে চুক্তিপত্র পাঠানো হয়েছিল সেটাই চূড়ান্ত চুক্তিপত্র হিসেবে গন্য হবে৷ চুক্তিপত্রে নতুন করে আর বদল সম্ভব নয়। সূত্রের খবর, চুক্তিপত্র পাঠানোর জন্য ক্লাব কর্তারা সরাসরি কথা বলেন শ্রী সিমেন্টের কর্ণধারের সঙ্গে৷ আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলার পরই কার্যকমিটির বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ক্লাব। মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমেই পরিমার্জিত চুক্তির খসড়া ও চূড়ান্ত চুক্তিপত্র তৈরি হয়েছে। কিন্তু এবারও ক্লাব যদি বেঁকে বসে তাহলে ইস্টবেঙ্গল আদৌ ভারতের প্রিমিয়ার ফুটবল টুর্নামেন্ট আইএসএল খেলবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই গেল।