Balai Dey: পাকিস্তানের হয়ে খেলার পর যোগ দিয়েছিলেন মোহন-ইস্টে

ভারত, পাকিস্তান দুই দেশের হয়ে খেলেছিলেন। ছোটবেলা কেটেছিল পূর্ব পাকিস্তানে। যা এখন বাংলাদেশ। ১৯৬৫ সালে বলাই দে’র (Balai Dey) পরিবার ভারতে চলে এসেছিল। পেট্রোপোল সীমান্ত…

Balai Dey

ভারত, পাকিস্তান দুই দেশের হয়ে খেলেছিলেন। ছোটবেলা কেটেছিল পূর্ব পাকিস্তানে। যা এখন বাংলাদেশ। ১৯৬৫ সালে বলাই দে’র (Balai Dey) পরিবার ভারতে চলে এসেছিল। পেট্রোপোল সীমান্ত দিয়ে এসেছিলেন ভারতে।

ভারতে প্রবেশ করার পূর্ব পাকিস্তানে ফুটবলার হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছিলেন বলাই দে। পড়ুয়াবেলা থেকেই তাঁর ফুটবল প্রতিভা অনেকের নজর কেড়েছিলেন। পাকাপাকিভাবে ভারতের আসার সময় তাঁর মনে হয়েছিল, জন্ম ভূমিতেই হয়তো ফেলে এলেন ফুটবল কেরিয়ার। ১৯৪৭ সালের দিনগুলোর কথা এখন আর খুব ভালো মনে নেই। তবে স্মরণে রয়েছে মাঠের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা মুহূর্ত। বলাই দের বয়স এখন ৭৬। থাকেন হাওড়ার লিলুয়ায়। সম্প্রতি দ্যা স্ক্রোল -এ তাঁর সাক্ষাৎকার সহ প্রকাশিত হয়েছে বিস্তারিত এক প্রতিবেদন।

স্কুল ছাড়ার সার্টিফিকেট হাতে পাওয়ার আগেই তাঁকে পাকিস্তান জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পাঠানো হয়েছিল চিন সফরে। গোলরক্ষক হিসেবে তিনি তখন রীতিমত একজন তারকা। নামডাক হচ্ছিল ক্রমশ। সোভিয়েত ইউনিয়নের একটি শক্তিশালী দল করাচি, রাওয়ালপিন্ডি, লাহোর, ঢাকা এবং অন্যান্য প্রধান শহরগুলিতে ম্যাচ খেলতে পাকিস্তান সফর করেছিল। বলাই দে-কে তখন ডেকে দেওয়া হয়েছিল দলে।

বয়স যখন ১৮ বছর, তখন তিনি পাকিস্তানের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ফুটবলার। শক্তিশালী ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিংয়ের মূল্যবান সদস্য। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “আমার পরিবারের অর্ধেকই ভারতে বসবাস করছিল। ১৯৬৫ সালের জানুয়ারি মাসে পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে এসেছিল। তার পরে জীবন বদলাতে শুরু করে। আমরা ভারতে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এরপর খুব বেশি ঢাকা বা খুলনায় যাওয়া হয়নি।”

কলকাতায় মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল দুই ক্লাবের জার্সি পড়েছেন তিনি। সেই দিনগুলোর কথা ভাবলে দে এখনও বিস্মিত হন। ১৯৬৯-৭০ মরসুমে মারডেকা টুর্নামেন্টের জন্য ভারতীয় দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল তাঁকে। তখন কোচ ছিলেন জার্নেল সিং।

“জীবনে যা পেয়েছি তার জন্য আমি ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ,” বলেছেন বলাই দে। “১৯৭২ সালে আমি ইস্ট বেঙ্গলে ছিলাম এবং বাংলাদেশে প্রদর্শনী ম্যাচ খেলতে গিয়েছিলাম। সৌভাগ্যবশত, পারিবারিক সম্পর্কের কারণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আমার ছোটবেলা থেকেই চিনতাম। ইস্ট বেঙ্গলের হয়ে খেলতে গিয়ে ওনার সঙ্গে কথা হয়েছিল। তখন তিনি আমাকে বলেছিলেন যে আমি দেশ ছেড়ে চলে আসার ঘটনায় প্রাথমিকভাবে মানুষজন বিরক্তই হয়েছিলেন । তবে আমি ভারতে এতো কিছু অর্জন করার পরে এখন সবাই খুশি।”