East Bengal Lounge: ইস্টবেঙ্গলে অভিনব লাউঞ্জ প্রসঙ্গে ‘বিস্ফোরক’ বাগান সচিব

গত রবিবার বিকেলে নয়া লাউঞ্জ (East Bengal Club’s Lavish Lounge) উদ্বোধন হয়েছে লাল-হলুদ শিবিরে। যারফলে প্রথমবার বিদেশি আদবকায়দায় নিজেদের মেলে ধরল কলকাতার কোনো ক্লাব।

Mohun Bagan Secretary, Debashis Dutta

গত রবিবার বিকেলে নয়া লাউঞ্জ (East Bengal Club’s Lavish Lounge) উদ্বোধন হয়েছে লাল-হলুদ শিবিরে। যারফলে প্রথমবার বিদেশি আদবকায়দায় নিজেদের মেলে ধরল কলকাতার কোনো ক্লাব। যেখানে দেশি-বিদেশি সুরার পাশাপাশি থাকছে হরেক রকমের খাবারের আয়োজন।

বিগত কয়েকদিন ধরে এই নিয়ে গোটা ময়দান জুড়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে গেলেও সমস্ত কিছুকে উপেক্ষা করে আধুনিকতার পথে আরো একধাপ এগিয়েছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। যেখানে বসে ক্লাবের সদস্য থেকে শুরু করে সমর্থকরা ও নিজেদের পছন্দ মতো উপভোগ করতে পারবেন নিজেদের বিশেষ মুহুর্ত গুলিকে।

   

তবে এই ভাবনা বিদেশি ক্লাব গুলিতে স্বাভাবিক হলেও কলকাতা ফুটবলে এক আলোড়ন সৃষ্টিকারী বিষয়। পূর্বে ময়দানের বেশকিছু অভিজাত ক্লাব যেমন কলকাতা প্রেস ক্লাব, পুলিশ এফসি, রেঞ্জার্স ক্লাব এমনকি ডালহৌসি তে ও প্রচলিত থাকলেও ইস্টবেঙ্গলের মতো হেভিওয়েট ক্লাবে এইরকম আয়োজন এই প্রথম। যেখানে চালু করা হয়েছে স্পেশাল লাউঞ্জ কাম বার। তবে এই নিয়ে একাধিক মন্তব্য উঠে এসেছে সমর্থকদের তরফ থেকে। অনেকেই যেমন এই পরিকল্পনায় যথেষ্ট খুশি ঠিক তেমন ভাবেই অনেকের কাছেই এসব নাপসন্ন।

এই পরিস্থিতি নিয়েই এবার মুখ খুললেন মোহনবাগান সুপারজায়ান্টস সচিব দেবাশিস দত্ত। তার মতে, সবুজ-মেরুন সমর্থকরা ক্লাবে এসে চিকেন স্টু, কফি, ঘুগনি এসব খাক। অন্যকিছু খাওয়ার দরকার নেই। কারন তারা তাদের পরম্পরা মেনে চলবে। এক কথায় বললে, নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে পড়শিদের খোঁচা দিলেন এই সবুজ-মেরুন কর্তা। যদিও সেই নিয়ে লাল-হলুদের তরফ থেকে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি।