নাসাফে নাজেহাল ATK Mohun Bagan, হাফডজন গোল খেয়ে শেষ AFC Cup অভিযান

afc cup

অনুভব খাসনবীশ: এএফসি কাপের গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইন্টারজোনাল সেমিফাইনাল খেলতে নেমেছিল এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan)। ‘এফসি নাসাফ উজবেকিস্তান’কে হারাতে পারলে ভারতীয় ক্লাব হিসেবে ইতিহাস গড়ার হাতছানি ছিল সবুজ-মেরুনের সামনে। ইতিহাস গড়া তো দূরের কথা, উলটে গোলের মালা পরে এএফসি কাপের অভিযান শেষ করল গঙ্গাপাড়ের ক্লাব।

Advertisements

Image

   

আরও পড়ুন ATK-নাম মোছার দাবিতে এবার বিক্ষোভের পথে সবুজ-মেরুন জনতা

১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এফসি এফসি নাসাফ উজবেকিস্তান সুপার লিগে কারশি শহরের প্রতিনিধিত্ব করে। উজবেকিস্তানের অন্যতম সফল ক্লাব তাদের সমর্থকদের কাছে “ড্রাগন” নামে বেশি জনপ্রিয়। গত মরশুমে উজবেক লিগে দ্বিতীয় স্থানে শেষ করে তারা। এর আগে দু’বার এএফসি কাপে অংশগ্রহন করেছে তারা। ২০১১ সালে এএফসি কাপ চ্যাম্পিয়নও হয়েছে। ফলে তাদের বিরুদ্ধে ম্যাচ যথেষ্ট কঠিন ছিল।

আরও পড়ুন এএফসির টিকিটে শুধুই Mohun Bagan, ATK উধাও হওয়ায় উচ্ছ্বসিত সবুজ-মেরুন সমর্থকরা

Advertisements

যদিও মাঠে ভালো ফল করার বিষয়ে আশাবাদী ছিলেন কোচ হাবাস। ম্যাচের আগে বলেছিলেন, “বিশ্বে কোনও কোচই জয়ের নিশ্চয়তা দিতে পারে না। তবে দুবাইয়ে আমাদের প্রস্তুতি বেশ ভাল হয়েছে। নাসাফ যে যথেষ্ট শক্তিশালী, তা আমাদের মাথায় আছে। ওদের হারানোর মতো ক্ষমতা আমাদের আছে।” যদিও ম্যাচের নব্বই মিনিটে দেখা গেল ঠিক উলটো ছবি।

গোটা ম্যাচেই এটিকে মোহনবাগানকে কার্যত নাচিয়েছে এফসি নাসাফ। প্রথমার্ধেই পাঁচ গোলে পিছিয়ে পড়ে সবুজ-মেরুন। ম্যাচের তিন মিনিটে ম্যাখিউ-প্রীতমের ভুল বোঝাবুঝিতে আত্মঘাতী গোল খাওয়ার পর হ্যাটট্রিক করে যান নাসাফের স্ট্রাইকার হুসেন নরকায়েভ। পেনাল্টি মিস না করলে প্রথমার্ধেই একডজন গোল হজম করতে হতো গঙ্গাপাড়ের ক্লাবকে। দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণে খানিক রাশ টানে উজবেকিস্তানের ক্লাব। ফলে ম্যাচের ৭১ মিনিটে ডোনিয়েরের গোল ছাড়া আর গোল হজম করতে হয়নি মোহনবাগানকে।

ম্যাচের পরেই প্রশ্ন উঠে গেল আন্তোনীয় লোপেজ হাবাসের স্ট্র্যাটেজি নিয়ে। প্রথম এগারোয় শেখ সাহিল, আশুতোষ মেহতাকে দেখে অবাক হয়েছিলেন অনেক ফুটবল বিশেষজ্ঞই। গোটা ম্যাচে আশুতোষ মেহতার নড়বড়ে পারফর্ম্যান্সের পরেও মাঠেই নামালেন না প্রবীর দাস, সুমিত রাঠিকে।