২০১৯ সালে ইন্ডিয়ান সুপার লিগে যোগদানের পর থেকে রয় কৃষ্ণ (Roy Krishna) আর গোল সমার্থক হয়ে উঠেছে।ফিজিয়ান ‘গোল্ডেন বয়’ ৬৬টি আইএসএল ম্যাচে ৩৭ টি গোল করেছে, এক বছর পরে ATK মোহনবাগানকে (ATK Mohun Bagan) ফাইনালে নিয়ে যাওয়ার আগে আইএসএল ২০১৯-২৯ মরসুমে তার ATK এফসি দলকে শিরোপা জয়ে বড় অবদান ছিল।
এমনকি আইএসএল ২০২১-২২ সেশনের আগের দুই মরসুমের তুলনায় কিছুটা কম খেলার সময় নিয়েও, কৃষ্ণ সাতবার নেট খুঁজে পেয়েছেন, যা গোল-প্রতি-গেম অনুপাতে ০.৪৪।
রয় কৃষ্ণর নামের পাশে ৫৬ গোল লিগের ইতিহাসে বার্থোলোমিউ ওগবেচে এবং ফেরান করোমিনাসের পরেই, যা তাকে আইএসএলে খেলা সবচেয়ে ভয়ঙ্কর স্ট্রাইকারদের একজন করে তুলেছে।
কয়েক মরসুম ধরে বেঙ্গালুরু এফসি স্কোরারের অভাবে ভুগছিল।এই কারণে ২০২২-২৩ মরসুমে তারা রয় কৃষ্ণ’কে সই করায়।কিন্তু প্রত্যাশার ধারে কাছে এখনও পৌছতে পারেনি ফিজিয়ান গোল্ডেন বয়।এই মরসুমে আইএসএলে কৃষ্ণর মাত্র একটা গোল এবং একটা সহায়তা রয়েছে। বেঙ্গালুরু এফসির জার্সি গায়ে রয়ের সাম্প্রতিক ফর্ম বেশ চিন্তায় ফেলেছে তার ভক্তদের।
Roy Krishna is yet to hit the heights he did at #ATKMohunBagan at @bengalurufc @masefield2110, @ErikPaartalu and John Helm analyse his start to life at his new club#LetsFootball #HeroISL #BFCATKMB #BengaluruFC https://t.co/cJWr4ouNJu
— Indian Super League (@IndSuperLeague) December 3, 2022
সামগ্রিকভাবে আইএসএল কেরিয়ারে ২২% এর তুলনায় এই মরসুমে তার শুটিং নির্ভুলতা মাত্র ৮%, যা গোলমেশিন রয় কৃষ্ণ নামের সঙ্গে খাপ খাচ্ছে না।আইএসএল কেরিয়ার অনুপাতে ০.৫৬ এর তুলনায় প্রতি গেমে তিনি গড়ে ০.১৭ গোল করছেন।
ATK FC এবং ATK মোহনবাগানে কৃষ্ণ ছিলেন চূড়ান্ত ফিনিশার এবং আক্রমণের মুখ। এখানে এমন খেলোয়াড় ছিল যারা ক্রমাগত ফিজিয়াকে বল সাপ্লাই দিয়ে যেত, বক্সে তার দক্ষতাকে ধ্বংসাত্মক প্রভাবকে আরও বেশি করে সক্রিয় করে তুলতো।বেঙ্গালুরু এফসিতে পরিস্থিতি একটু আলাদা।
বল সাপ্লাই না পাওয়ার কারণে গোলের খরায় ভুগছে ফুটবলার রয় কৃষ্ণ। ফলে শনিবারের ম্যাচের আগে বাড়তি সুবিধা পেতে পারে ATKমোহনবাগান।