গতকাল শনিবার ওডিশা এফসির সঙ্গে ম্যাচের শুরু থেকেই সবুজ-মেরুন (ATK Mohun Bagan) ফুটবলারদের দাপট দেখেছে গোটা যুবভারতী। সেই প্রথম থেকেই বিপক্ষের ফুটবলারদের পা থেকে বল কেড়ে মাঝমাঠ থেকে থ্রু ধরে একের পর এক ডিফেন্স চেড়া পাশ দিচ্ছিলেন হুগো বুমোস আর আশিক কুরুনিয়ানরা। তবে গোলের মুখ খুলতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে সকলকে। যারফলে বহু চেষ্টার পর ম্যাচের ৩৬ মিনিটের মাথায় উঠে আসে প্রথম গোল। যারফলে আত্মবিশ্বাস বাড়তে থাকে দলের বাকি ফুটবলারদের। প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে থাকে এটিকে মোহনবাগান। তারপর দ্বিতীয়ার্ধে আসে ২ নম্বর গোল। শেষ পর্যন্ত ২-০ ব্যাবধানে জিতে মাঠ ছাড়ে প্রীতমরা।
তবে এই জয় লাভ করে ও খুব একটা খুশি নন মোহনবাগানের হেডস্যার। এবার সামনে হায়দ্রাবাদ এফসি। সময় যতো কমছে ততই চিন্তা বাড়ছে হুয়ান ফেরেন্দোর। কিন্তু কেন খুশি হতে পারলেন না তিনি? আসলে গোলের সহজ সুযোগ হাতছাড়া করার অভ্যেস এখনও থেকে গিয়েছে ফুটবলারদের। গতকালের ম্যাচে ও একাধিক সহজ সুযোগ নষ্ট করে ছেলেরা। তাই মাত্র ২ গোলেই সন্তুষ্ট থাকতে হল এটিকে মোহনবাগানকে। পাশাপাশি ম্যাচের দশ মিনিটের মাথায় দলের অন্যতম ভরসাযোগ্য উংঙ্গার আশিক কুরুনিয়ানের চোটের ধাক্কা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না কোচ।
তবে সেখানেই শেষ নয়। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে গোলরক্ষক বিশাল কাইথের মাঠ ছাড়ার পর থেকেই কপালে ভাঁজ পড়েছে ফেরেন্দোর। বর্তমানে বিশাল বিপদ মুক্ত থাকলেও সেমিফাইনালে হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে মাঠা নামা এখনও অনিশ্চিত। কিছুদিন বিশ্রামের কথা জানানো হয়েছে চিকিৎসকদের তরফে। তবে বিশাল ফিরলেও প্রথম একাদশ সাজাতে গিয়ে রীতিমতো হিমসিম খাওয়ার মতো পরিস্থিতি হুয়ানের।
গতকাল ম্যাচের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কথা বলতে গিয়ে কিছুটা হতাশার সুর শোনা যায় বাগান কোচের গলায়। তিনি বলেন, হারা-জেতার থেকে দলের ফুটবলারদের সুস্থতাই এখন সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। সেমিফাইনালের প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বলেন, বর্তমানে দলের যা অবস্থা তাতে আশিক ও গ্লেনের মতো তারকারা চোটের জন্য আগেই অনিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। তাই দল আদৌ কতটা লড়াই করতে পারবে এখন সেটাই দেখার। আগামী ৯ তারিখ প্রথম সেমিফাইনাল খেলবে এটিকে মোহনবাগান।