২৩ তারিখ পাঞ্জাব এফসির বিপক্ষে জয় দিয়ে ইন্ডিয়ান সুপার লিগে অভিযান শুরু করেছিল মোহনবাগান (Mohun Bagan) সুপারজায়ান্টস। সেই ধারাই বজায় রেখেছে। নির্ধারিত সময়ের শেষে ১-০ গোলের ব্যবধানে বেঙ্গালুরু এফসিকে পরাজিত করে কলকাতার এই প্রধান। দলের হয়ে একমাত্র গোল করেন মরোক্কান তারকা হুগো বুমোস। তার গোলের পর থেকেই ধীরে ধীরে নাস্তানাবুদ হতে শুরু করে সাইমনের বেঙ্গালুরু এফসি ফুটবল দল। যারফলে, দুই ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে এখনো পর্যন্ত লিগ টেবিলের শীর্ষ স্থান ধরে থাকল পালতোলা নৌকা ব্রিগেড।
উল্লেখ্য, গত ম্যাচের মতো এই ম্যাচে ও সুনীল ছেত্রী অনুপস্থিত থাকলেও তার খুব একটা প্রভাব আসেনি ম্যাচের মধ্যে। এদিন শুরু থেকেই ঘন ঘন আক্রমণে উঠে আসতে দেখা যায় দুই দলের ফুটবলারদের কে। প্রথমার্ধে ফলাফল গোলশূন্য থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে ৬৭ মিনিটের মাথায় সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের হয়ে গোল তুলে আনেন হুগো বুমোস। তারপর থেকে বেঙ্গালুরু ডিফেন্সে সবুজ-মেরুন ঝড়ের প্রকোপ বেড়েছে মিনিটে মিনিটে। যা সামাল দিতে গিয়ে লাল কার্ড পর্যন্ত দেখতে হয়েছে দলের দুই তারকা ফুটবলারকে। কিন্তু গোলের সুযোগ তৈরি হলেও তা ফিনিশ করতে পারেননি কেউ। দলে একের পর এক তাবড় তাবড় তারকা স্ট্রাইকার দলে থাকলেও কেন গোলের দেখা মিলল না এবার? সেই নিয়েই উঠতে শুরু করেছে একাধিক প্রশ্ন। এক্ষেত্রে অনেক দুষতে শুরু করেছেন অজি তারকা দিমিত্রি পেট্রতোসকে।
তবে এই সমস্যার গভীরতা আদতে অনেকটাই। গতকাল ম্যাচের শেষেরদিকে একটা সময় দেখা যায় যে আর্মান্দো সাদিকু যখন বল নিয়ে উঠছেন প্রতিপক্ষের গোল বক্সের দিকে ঠিক সেই সময় ক্লিয়ার পজিশনে দাঁড়িয়ে থাকা তারকা তথা দিমিত্রি পেট্রতোসকে বল না দিয়ে হঠাৎ নিজেই শট নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন সাদিকু। তবে তা গোল পর্যন্ত পৌঁছায়নি। অথচ দিমির পায়ে বল পড়লে অনায়াসেই ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে পারত মোহনবাগান সুপারজায়ান্টস। একই ঘটনা দেখা যায় দিমিত্রির ক্ষেত্রে।
তিনি বল নিয়ে বেঙ্গালুরু ডিফেন্সে আক্রমণ চালানোর সময় ফাঁকা স্থানে দাঁড়িয়ে ছিলেন আলবেনিয়ান তারকা আর্মান্দো সাদিকু। তবে তাকে বল না দিয়ে সোজা নিজেই শট নিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন এই অজি তারকা। যা ভালোভাবে নেননি কেউ। আসলে দলে একাধিক তারকা স্ট্রাইকার একসঙ্গে মাঠে থাকলে গোল করে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার তাগিদ থাকে অনেক ক্ষেত্রেই। যা সর্বদা সুখকর হয়না দলের ক্ষেত্রে। তবে সেই সময় মোহনবাগান এগিয়ে না থাকলে হয়ত দলগত পারফরম্যান্সের দিকেই বাড়তি নজর দিত বাগান স্ট্রাইকাররা। তাই আগামী দিনে এই সমস্ত দিকে যে বাড়তি নজর দেবেন ফেরেন্দো, তা কিন্তু বলাই চলে।