মিছিলে হাঁটার আমন্ত্রণ নয়, তারা চাইছেন মহিলা ফুটবলের উন্নয়ন

‘আমাদের দুর্গা’। থিমের নাম। কলকাতা এবং বাংলার মহিলা ফুটবলাররা বৃহস্পতিবার রাজ্যের দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কোর দেওয়া হেরিটেজ সম্মান উপলক্ষ্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে আয়োজিত কলকাতায় এক বিরাট শোভাযাত্রায়…

‘আমাদের দুর্গা’। থিমের নাম। কলকাতা এবং বাংলার মহিলা ফুটবলাররা বৃহস্পতিবার রাজ্যের দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কোর দেওয়া হেরিটেজ সম্মান উপলক্ষ্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে আয়োজিত কলকাতায় এক বিরাট শোভাযাত্রায় হাঁটলেন। বর্তমান মহিলা ফুটবলারদের পাশাপাশি প্রাক্তন, দেশের প্রতিনিধিত্ব করা মহিলা ফুটবলাররাও আমন্ত্রিত ছিলেন শোভাযাত্রায় হাঁটার জন্য। আমন্ত্রণ জানিয়েছিল আইএফএ। মহিলা ফুটবলারদের ‘আমাদের দুর্গা’-র তকমাও দিয়েছিল আইএফএ।

দেশের হয়ে একাধিকবার খেলা দুই প্রাক্তন মহিলা তারকা ফুটবলার কুন্তলা ঘোষ দস্তিদার আর অর্জুন পুরষ্কার প্রাপ্ত শান্তি মল্লিক আমন্ত্রিত হয়েও শোভাযাত্রায় অংশ নেননি। না নেওয়ার জন্য তাদের আক্ষেপও নেই। বরং তাদের আক্ষেপ, “সরকার যদি মহিলা ফুটবলের জন্য উন্নয়নমূলক কোনও প্রকল্প বাস্তবায়িত হত তাহলে সত্যিই মনে হত বাংলা এবং দেশের জন্য ফুটবলের এই ‘দুর্গা’-দের এত বছরের পরিশ্রম সার্থক হয়েছে।”

শান্তি মল্লিকের সংযোজন, “আইএফএ-র যে কলকাতা মহিলা ফুটবল লিগটা চালাত, তাকে কন্যাশ্রী কাপ নাম দিয়ে সরকার এখন চালাচ্ছে। আমি খুবই দুঃখ পেয়েছি। কেন? সরকার কি পারত না আইএফএ-মহিলা ফুটবল লিগের পাশাপাশি কন্যাশ্রী কাপ নামে আর একটা মেয়েদের টুর্নামেন্ট শুরু করতে? মেয়ের কোথায় খেলবে? তাদের জন্য তো টুর্নামেন্টই নেই।”

কুন্তলারও আফশোষ, “রাজ্যে শান্তি মল্লিকের মত অর্জুন পুরষ্কার প্রাপক রয়েছে। তিনি নিজে অনেক বছর ধরে বাচ্চাদের ফুটবলের স্কুল পর্যন্ত চালান। অথচ, সরকার বা আইএফএ-র কিন্তু কোনও হুঁশ নেই। মেয়েদের মধ্যেও প্রচুর প্রতিভাবান ফুটবলার রয়েছে। তাদের খুঁজে বার করে যথাযথভাবে পরিচর্যা করতে হবে। কে করবে? কোনও পরিকাঠামো আছে? সরকার যদি এই কাজটা করত তাহলে সেটা অনেক বেশি গর্বের বিষয় হত। কলকাতার তিন প্রধানেরও তো পাকাপাকিভাবে মহিলা ফুটবলকে প্রোমোট করার কোনও ইচ্ছে নেই। মাঝে মাঝে দল গড়ে লিগ খেলে। কিন্তু সেটাও নিয়মিত নয়। আর লিগ খেলা ছাড়া মেয়েদের ফুটবল নিয়ে তাদের আর কোনও ভাবনা নেই।”