বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা (Argentina) পরাজিত। এমন ঘটনা আগেও বহুবার হয়েছে। তবে ‘নিষিদ্ধ জার্সি’ বিতর্কের আবহে তাদের পরাজয় নি:সন্দেহে নজির।
বিখ্যাত নীল-সাদ জার্সি পরে মাঠে খেলা দেখা যাবে না এই নির্দেশ দিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিল প্যারাগুয়ে। তারাই জিতে হাসি মুখে মাঠ ছাড়ল। বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে প্যারাগুয়ের ২-১ গোলে জয়ী।
ম্যাচের আগে প্যারাগুয়ে ফুটবল সংস্থা গ্যালারিসহ দেশজুড়ে আর্জেন্টিনার সমর্থনে পতাকা ও জার্সি নিষিদ্ধ করে দেয়। প্যারাগুয়ে ফুটবল সংস্থার তরফে বলা হয় জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের মনোবল ধরে রাখতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে আর্জেন্টিনা দল তাদের জার্সিতেই খেলবে। এই ঘোষণার পর বিশ্বজুড়ে শোরগোল পড়েছিল। তবে অনড় থাকে প্যারাগুয়ে সরকার।
বিশ্ব ফুটবলে বারবার বিতর্কে জড়িয়েছে। ফুটবল কূটনীতি বিশ্বকে নড়িয়ে দিয়েছে। ১৯৭৮ সালে সেনা শাসনের ভীতিতে জবরদস্তি বিশ্বকাপ জয় করে কলঙ্কিত আর্জেন্টিনা। দক্ষিণ আমেরিকারই দেশ প্যারাগুয়ে ও আর্জেন্টিনার মধ্যে কূটনৈতিক দ্বন্দ্বে এই মহাদেশের রাজনীতি প্রভাবিত। যেভাবে প্যারাগুয়ে সরকার তাদের ফুটবল সংস্থাকে দিয়ে আর্জেন্টিনার জার্সি নিষিদ্ধ করিয়েছে এতে বাকি দেশগুলিও উল্লসিত। বিভিন্ন দেশে ইতিমধ্যেই এমন পদক্ষেপ নিতে দাবি উঠেছে। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল এই দুই দেশ খেলার আগে নিজেদের বিশ্বজনীন সমর্থক ও জার্সি দিয়ে আবেগ ঝড় তুলে ম্যাাচের আগেই জয়ের পথ তৈরি করে। প্যারাগুয়ে সেই পথে কাঁটা বিছিয়ে দিল।
বিতর্ক নিয়েই প্যারাগুয়ে তাদের হোম ম্যাচে আর্জন্টিনার মুখোমুখি হয়। দেল চাকো স্টেডিয়ামে ম্যাচের ১১ মিনিটে লাওতারো মার্টিনেজের বাঁ পায়ের ফিনিশিংয়ে আর্জেন্টিনা এগিয়ে গিয়েছিল ম্যাচে।
পরের মুহূর্তটি ম্যাজিক। প্যারাগুয়ের আন্তোনিও সানাব্রিয়ার চোখ ধাঁধানো বাইসাইকেল কিকে গোল করে সমতা ফেরান। এরপর ওমর আলদেরেতের ৪৭ মিনিটে করা হেড থেকে গোলে এগিয়ে যায় প্যারাগুয়ে। লিওনেল মেসি পুরো সময় মাঠে থাকার পরও আর্জেন্টিনা আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। ২-১ গোলের হার নিয়ে মাঠ ছেড়েছে তারা।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের ১ নম্বর স্থানে আর্জেন্টিনা। আর দক্ষিণ আমেরিকার আরেক দেশ প্যারাগুয়ে রয়েছে ৫৫ নম্বরে।