আন্তর্জাতিক ফুটবলে আরেক স্বর্ণালী অধ্যায় লিখে ফেললেন লিওনেল মেসি (Lionel Messi)। আর্জেন্টিনার (Argentina) জার্সিতে দেশের মাঠে হয়ত এটাই ছিল তার শেষ প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ। এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন খোদ মেসি নিজেই। ভেনেজুয়েলার (Venezuela) বিপক্ষে ম্যাচ শুধু আবেগঘনই ছিল না, ছিল ঐতিহাসিকও। ম্যাচেই বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ড (World Record) গড়েছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
ভেনিজুয়েলার বিপক্ষে সহজ জয় আর্জেন্টিনার, বিদায়ী ম্যাচে জোড়া গোল মেসির
ম্যাচ শুরুর আগেই আবেগাপ্লুত দেখা যায় মেসিকে। ওয়ার্মআপের সময় ক্যামেরায় ধরা পড়ে তার চোখে জল। হয়ত বুঝতেই পারছিলেন, ঘরের মাঠে আর কোনো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে নামার সম্ভাবনা নেই। তবে মাঠে গিয়েই সেই আবেগকে পরিণত করলেন পারফরম্যান্সে। জোড়া গোল করে দলকে এনে দিলেন দারুণ এক জয়।
এই ম্যাচেই তিনি ছাড়িয়ে গিয়েছেন ইকুয়েডরের ইভান হুর্তাদোকে। হুর্তাদো খেলেছিলেন ৭১টি বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ। ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে মাঠে নেমে ৭২তম ম্যাচে খেললেন মেসি। আর্জেন্টিনার ঘরোয়া ক্রীড়া সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস বলছে, ৪৫ ম্যাচ তিনি খেলেছেন দেশের মাটিতে।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ের এই ৭২ ম্যাচে মেসির আর্জেন্টিনা জয় পেয়েছে ৪০টি ম্যাচে, ড্র করেছে ২০টি, আর হেরেছে মাত্র ১২ ম্যাচে। যদিও দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল কনফেডারেশন অর্থাৎ কনমেবল বলছে, হুর্তাদো এবং মেসির ম্যাচ সংখ্যা সমান ৭২টি। তবুও রেকর্ড বইয়ে মেসির নাম যুক্ত হয়েছে, যা নিঃসন্দেহে তার অসাধারণ ক্যারিয়ারের আরও একটি মাইলফলক।
দেশের মাটিতে নীল-সাদা জার্সিতে শেষ ম্যাচ, প্রতিপক্ষ ভুলে হৃদয়স্পর্শী বার্তা মেসির
ম্যাচের পর সংবাদমাধ্যমের প্রশ্ন ছিল, এটাই কি তার শেষ বিশ্বকাপ হবে? মেসির উত্তর যথারীতি সংযত, “আগেও বলেছি, হয়তো আর কোনো বিশ্বকাপ খেলব না। বয়সের কারণে সেটা স্বাভাবিক। তবে আমরা বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করেছি, তাই খেলতে পারার সম্ভাবনা আছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমি সবকিছু দিন ধরে দেখি, শরীর কেমন যাচ্ছে সেটা বুঝে সিদ্ধান্ত নেই। আমি যখন ভালো থাকি, উপভোগ করি। কিন্তু ভালো না লাগলে খেলাটা আমার জন্য কষ্টের হয়ে যায়। তখন মাঠে না থাকাই ভালো। তাই দেখা যাক সামনে কী হয়।”
Argentina Lionel Messi plays final home qualifier breaks World Record in emotional win against Venezuela