গত মুম্বাই ম্যাচ খেলতে গিয়েই চোটের কবলে পড়তে হয়েছিল ভারতীয় তারকা আনোয়ার আলি (Anwar Ali)। নতুন বছরের প্রথম ম্যাচে তাঁর উপস্থিতি নিঃসন্দেহে প্রভাব ফেলেছিল দলের রক্ষণভাগে। তবুও মুম্বাই সিটি এফসির বিপক্ষে জয় সুনিশ্চিত করতে পারেনি কলকাতা ময়দানের এই প্রধান। একটা সময় দুই গোলের ব্যবধানে পিছিয়ে থাকতে হলেও পরবর্তীতে ম্যাচে ফিরেছিল মশাল ব্রিগেড। কিন্তু বজায় থাকেনি ছন্দ। সেই ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে তৃতীয় গোল খেয়ে বসে অস্কার ব্রুজনের ছেলেরা। সেই একটি গোলের ব্যবধানে অ্যাওয়ে ম্যাচ থেকে পুরো পয়েন্ট নিয়ে শহরে ফিরে যায় পেট্র ক্র্যাটকির মুম্বাই সিটি এফসি।
এমন পারফরম্যান্স নিঃসন্দেহে হতাশ করেছিল ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের। এই ম্যাচের পর হুইল চেয়ারে করে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল জাতীয় দলের অন্যতম ভরসাযোগ্য ডিফেন্ডার আনোয়ার আলিকে। যা চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল সকলকে। ম্যাচ পরবর্তী সময় লাল-হলুদ শীর্ষকর্তা সেই চোটের প্রসঙ্গে সকলকে আশ্বাস দিলেও কাজে আসেনি কোনও কিছুই। পরবর্তীতে হাইভোল্টেজ ডার্বি ম্যাচে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের পাশাপাশি গত ম্যাচে মানোলো মার্কুয়েজের এফসি গোয়ার বিপক্ষে ও খেলতে পারেননি এই ভারতীয় তারকা। সেক্ষেত্রে হিজাজি মাহের থেকে শুরু করে লালচুংনুঙ্গার মতো ফুটবলারদের উপরেই বাড়তি ভরসা রেখেছিলেন অস্কার।
কিন্তু কাজের কাজ সেরকম কিছুই হয়নি। বরং হারের হ্যাট্রিক দিয়ে নতুন বছর শুরু করেছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল। সেখান থেকেই এবার ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ। কিন্তু খেলোয়াড়দের চোট আঘাতের সমস্যা যথেষ্ট চাপে রেখেছে লাল-হলুদ শিবিরকে। ইতিমধ্যেই এই সমস্যার দরুন মাঠের বাইরে রয়েছেন প্রথম একাদশের একাধিক ফুটবলার। স্বাভাবিকভাবেই দলের পারফরম্যান্সে যে প্রভাব আসবে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু কবে থেকে মাঠে ফিরতে পারবেন এই তারকা? সেই নিয়ে উঠে আসলো নয়া তথ্য। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই সম্পূর্ণ ম্যাচফিট হয়ে উঠতে পারেন আনোয়ার।
পাশাপাশি চোট সমস্যা কাটিয়ে চলতি বছরের প্রথম সপ্তাহেই কলকাতায় এসেছেন স্প্যানিশ তারকা সাউল ক্রেসপো। তবে গোয়া ম্যাচের আগে তিনি যে সম্পূর্ণ ম্যাচ ফিট হতে পারবেন না সেকথা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের নবনিযুক্ত হেড কোচ। সেই অনুযায়ী দেখলে আগামী কেরালা ম্যাচে ও হয়তো খেলতে পারবেন না ক্রেসপো। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী চেন্নাইয়িন ম্যাচেই কামব্যাক করতে পারেন মাঝমাঠের এই তারকা।