বুধবার (১৪ অগস্ট) ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাব (East Bengal FC) এক নয়া ইতিহাস কায়েম করতে চলেছে। প্রায় ৯ বছর পর আবারও তারা কন্টিনেন্টাল ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলতে নামছে। প্রতিপক্ষ তুর্কমেনিস্তানের দল আলটিন আসিয়ার। কলকাতার বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে এই ম্যাচের আয়োজন করা হচ্ছে। সন্ধ্যা সাতটা থেকে এই ম্যাচ শুরু হবে।
এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, ২০২৪ কলিঙ্গ সুপার কাপ জয় করার পর লাল-হলুদ ব্রিগেড এই টুর্নামেন্টের প্রিলিমিনারি পর্বের যোগ্যতা অর্জন করেছে। কার্লেস কুয়াদ্রাতের কোচিংয়ে এই ম্যাচটা ইস্টবেঙ্গল যে জিততে পারবে, তা আশা করা যেতেই পারে।
চলতি মরশুম শুরুর আগেই ইস্টবেঙ্গল দলে বেশ কয়েকজন ফুটবলার সই করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম পরিচিত মুখ হলেন দিমিত্রিয়স দিয়ামান্তাকোস, মাদিহ তালাল, ডেভিড লালনসাঙ্গা এবং জিকসন সিং। তবে হেক্টর ইউস্তে এবং আনোয়ার আলি যোগ দেওয়ার পর দলের রক্ষণ এবং আক্রমণভাগ আগের থেকে অনেকটাই শানিত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত মরশুমে আনোয়ার আলি মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের হয়ে খেলেছিলেন। তবে এবার ইস্টবেঙ্গলে যোগ দেওয়ার আগে যথেষ্ট বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। মোহনবাগানের সঙ্গে চার বছরের চুক্তিভঙ্গ করে লাল-হলুদ শিবিরে পা রেখেছেন। গত ১৩ অগস্ট সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের প্লেয়ার স্টেটাস কমিটি আনোয়ারকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দেওয়ার পরই আনোয়ার ইস্টবেঙ্গলে সই করেছেন।
বুধবারের ম্য়াচে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলবেন আনোয়ার আলি?
ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাবে আনোয়ার আলির ট্রান্সফার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, মেডিক্যাল রিপোর্ট হাতে আসার পরই তাঁর নাম নথিভুক্ত করা হবে। এই পরিস্থিতিতে তিনি এএফসি ২ ম্যাচে তিনি খেলতে নামবেন কি না, তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও স্পষ্ট ছবি পাওয়া যায়নি।
গত ১১ অগস্ট কলকাতায় পা রেখেছেন আনোয়ার আলি। পরেরদিন তিনি যাবতীয় ট্রান্সফার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ফেলেন। অবশেষে গত ১৩ অগস্ট ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাবের কর্ণধার দেবব্রত সরকার তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থকদের সামনে নিয়ে আসেন।
আপাতত যা পরিস্থিতি তাতে বুধবার লাল-হলুদ জার্সিতে আনোয়ার আলি যে মাঠে নামবেন না, তা বলা যেতেই পারে। পাশাপাশি হেক্টর ইউস্তেও এই ম্যাচে খেলতে পারবেন না। ভিসা সমস্যায় তিনি আপাতত জর্জরিত। এই সমস্যা মিটলেই তিনি ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলার ছাড়পত্র পাবেন।