Table Tennis: বাংলার উপেক্ষিত অঙ্কুর

এই মুহূর্তে ভারতের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় টেবিল টেনিস (Table Tennis) প্লেয়ার অঙ্কুর ভট্টাচার্য। ওর স্বপ্ন, অলিম্পিকে সোনা জেতার। ১৮ বছর বয়েস, ইতিমধ্যে অনূর্ধ্ব উনিশ ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপে…

Ankur Bhattacharya

এই মুহূর্তে ভারতের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় টেবিল টেনিস (Table Tennis) প্লেয়ার অঙ্কুর ভট্টাচার্য। ওর স্বপ্ন, অলিম্পিকে সোনা জেতার। ১৮ বছর বয়েস, ইতিমধ্যে অনূর্ধ্ব উনিশ ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জয়ের হ্যাট্রিক করেছে অঙ্কুর। সেইসঙ্গে গাদা গাদা আন্তর্জাতিক ট্রফি। তারপরেও তাকে থাকতে হয় উপেক্ষার আড়ালেই।

এই জানুয়ারিতে আনুষ্ঠানিকভাবে ওর হাতে খড়ি হলো সিনিয়র টেবিল টেনিসে। অভিষেকেই পদক প্রাপ্তি। উচ্ছসিত অঙ্কুর একটাই স্বপ্ন লালন করে নিজের মধ্যে, ‘আগামী অলিম্পিক থেকে আমাকে সোনা আনতে হবে।’

   

রাজারহাটে বাবা অংশুমান ভট্টাচার্যের কাছেই টেবিল টেনিসের প্রাথমিক শিক্ষা। বাবা-মা দুজনই টেবিল টেনিস প্লেয়ার। ছোট থেকে স্বপ্নতো দেখিয়েছেন তাঁরা কিন্তু ছেলে যখন বিশ্ব জয়ে বেরিয়েছে তখন আর্থিক সংকটে হাবুডুবু খাচ্ছেন অংকুরের বাবা মা। তারা বলছেন, আগে টেবিল টেনিসে এত খরচ ছিল না কিন্তু এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলতে যে মানের ব্যাট দরকার সেগুলির দাম ৫০ হাজার টাকার মতো।

ব্যাটে দুদিকে যে রবারের আস্তরণ থাকে সেগুলি চার পাঁচ দিন পর পর পাল্টাতে হয়। একেক বারে খরচ হয় ১৫০০০ টাকার মতো। কিন্তু আর্থিক সহায়তা নেই বলে চরম সংকটের মধ্যে খেলতে হচ্ছে অঙ্কুরকে। পরিবারের অভিযোগ, রাজ্য সরকার কোনও দিন কোনও আর্থিক সহায়তার আগ্রহ দেখায়নি। অন্য রাজ্যে থেকে প্রস্তাব আসছে, তাদের হয়ে খেললে সাহায্য পাওয়া যাবে কিন্তু অঙ্কুর এখনও চায়, নিজের রাজ্যকেই প্রতিনিধিত্ব করতে।

স্বপ্ন শুধু অঙ্কুরের একা নয়, জাতীয় কোচ ম্যসিমো কস্তান্তিনি মনে করেন, ‘এই মুহূর্তে অনূর্ধ্ব উনিশে বিশ্বের সেরা ১০ জনের মধ্যে একজন অঙ্কুর। এবার সিনিয়র পর্যায়ে ওকে পৌঁছতে হবে সেই উচ্চতায় এবং সেটা ও পারবে, কারণ ওর ভয়ংকর জেতার খিদে। প্রতিটা পয়েন্টের জন্য জান বাজি রেখে লড়াই করতে জানে। একেবারেই ভয় ডর হীন। উল্টো দিকে কে, সে সব নিয়ে মাথাই ঘামায় না। প্রবল চাপের মুখে ঠাণ্ডা মাথায় পরিস্থিতি মোকাবিলায় ওস্তাদ।’

বাংলার এই ডাকাবুকো ছেলেটাই, উপেক্ষাকে সঙ্গি করেই স্বপ্ন দেখে, আগামী লস এঞ্জেলস অলিম্পিকে সোনা জেতার। জানে লড়াইটা ভয়ংকর কঠিন কিন্তু অঙ্কুর সেই চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত। হাতে বাঘের ট্যাটু করে রেখেছে, কেন জানেন? নিজেই বলে ‘আমি বাঘের মতোই লড়তে ভালবাসি।’